ভারতের সামরিক গতিবিধি জানতে তৎপর চিন, সেনাবাহিনীতে হিন্দি, নেপালি ভাষার দোভাষী নিয়োগ
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি হিন্দি ও নেপালি ভাষা জানা সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি তিব্বতি ভাষা জানা ব্যক্তিরা পিএলএ-তে চাকরির বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ও তথ্য সংগ্রহের জন্য চিনের সামরিক বাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিনা সেনাবাহিনীতে হিন্দি ও নেপালি জানা কর্মী নিয়োগ
জানা গিয়েছে, তিব্বতের সামরিক বিভাগের আধিকারিকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দিতে স্নাতক পড়ুয়ার সন্ধান শুরু করেছে। প্রসঙ্গত তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট পিএলএ-এর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের অধীনে। এলএসির নীচে অরুণাচলপ্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ডের সীমান্তের জন্য হিন্দি, নেপালি পারদর্শীদের নিয়োগ করতে চলেছে চিনা সামরিক বাহিনী বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিব্বতিদের নিয়োগ করা হবে বলে অনুমান। জানা গিয়েছে, পিএলএ-এর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের অধীনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।
দোভাষী খুঁজতে তিব্বতের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন
সামরিক সূত্রের খবর, প্রায় দুই বছর আগে থেকেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেপালি ও হিন্দি ভাষায় পরাদর্শীদের নিয়োগ করতে শুরু করেছে। এখন সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ। মে মাসের একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিব্বতে মিলিটারি ডিস্ট্রিকের কর্মীরা পিএলএ-এর জন্য হিন্দি জানা দোভাষীদের খুঁজতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে। হিন্দি জানা দোভাষীদের এলএসি বরাবর নিয়োগ করা হতে পারে। এছাড়াও তাঁদের উত্তরাখণ্ডের সীমান্তে নিয়োগ করা হতে পারে বলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তরফে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, চিন সামরিক বাহিনীতে তিব্বতের বাসিন্দাদের নিয়োগ বাড়িয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, প্রায় ৭০০০ তিব্বতিকে চিন সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করেছে। তারমধ্যে বিশেষ তিব্বতি সেনা ইউনিটে ১০০০ জন রয়েছেন। সেখানে ১০০ জন তিব্বতি মহিলা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মন্দারিন ভাষা পরদর্শী
দুই বছর আগে এলএসি-র কাছে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহনী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরপরেই চিনের সেনবাহিনীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে আন্দাজ করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মন্দারিন ভাষায় লোক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ৩,৪০০ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল জুড়ে ভারত-চিন সীমান্ত রয়েছে। সেখানে নজরদারি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে মান্দারিন ভাষার ওপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের পঞ্চমড়িতে সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুল ও দিল্লির স্কুল অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজে মন্দারিন ভাষা বিশেষজ্ঞদের চাকরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনারা মান্দারিন ভাষা আদৌ আয়ত্ত করতে পারছে কি না, তা পরখ করে দেখা হচ্ছে।