সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা হুগলীর গোষ্ঠী সংঘর্ষের ছবি গুলি আদপে পাকিস্তানের
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা হুগলীর গোষ্ঠী সংঘর্ষের ছবি গুলি আদপে পাকিস্তানের
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক গুজবের ঘনঘটা দেখা গেছে। কখনও তাতে শরিক হয়েছে মূল ধারার সংবাদমাধ্যমও। এদিকে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হুগলীর ভদ্রেশ্বরের তেলিনীপাড়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে বেশ কিছু উষ্কানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
আদেও কী ছবি গুলি হুগলীর গোষ্ঠী সংঘর্ষের ?
একাধিক পোস্টে অনেক আহত লোক এবং পোড়া ঘরবাড়ির ছবি ও ভিডিও উঠে আসে। অনেকেই এই সমস্ত ছবি গুলিকে হুগলীতে দাঙ্গার সময় দলিত হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ছবি হিসাবে দাবি করেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই সমস্ত ছবি গুলি আসলে পাকিস্তানের ভারতের নয়।
|
আসল ছবি পাওয়া যায় ভয়েস অফ পাকিস্তান মাইনরিটি নামে টুইটার হ্যান্ডেলে
ভয়েস অফ পাকিস্তান মাইনরিটি নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ১১ মে এই ছবি গুলি পোস্ট করা হয়। পোস্টের উফরে লেখা হয়, "আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়েছে। পাঞ্জাবের রহিমিয়ার খানে গুলাব ও তার স্ত্রী পাড়ার গুন্ডাদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। তাঁর স্ত্রীকে প্রকাশ্যে যৌন নির্যাতনও করা হয়ে। সংখ্যালঘুদের উপর এই নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই"।
পুড়ে যায় প্রায় ২১টি বাড়ি
এদিকে টুইটার পোস্টের এই ছবি গুলিকেই পরবর্তীকালে হুগলীর দাঙ্গা বলে চালানো হয়। উল্টোদিকে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট পাকিস্তানে সংঘটিত ঘটনাটির কথাও প্রকাশ করে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মধ্যে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রায় ২১ টি বাড়ি পুড়ে গেছে। যার অনেক গুলির মধ্যে শিশু ও মহিলারাও ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ
পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশও জানিয়েছে ছবিতে দেখতে পাওয়া ঘটনাটি আদপে পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানে সংঘটিত হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মধ্যে জমির বিরোধের জেরেই গোটা ঘটনার সূত্রপাত। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু মানুষ ক্রমাগত এই দাঙ্গা বাংলার মাটিতে সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করে যাচ্ছেন। যা সর্বৈব ভাবে ভুয়ো।
বাস ভাড়ার পর এবার আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে শহরের ট্যাক্সি ভাড়াও, মাথায় হাত আম জনতার