জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র কানাডার! আগামী সপ্তাহে টিকাকরণ ট্রুডোর দেশে
ইতিমধ্যেই সর্বশেষ ট্রায়ালের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১১টি করোনা টিকা। অন্যদিকে জরুরি ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। এবার সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে কানাডাও।


কানাডাকে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
সূত্রের খবর, করোনাকে ব্যাকফুটে ঠেলার দৌড়ে এবার ব্রিটেনের পর তালিকায় পরবর্তী উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে উঠে এল কানাডা। দেশে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য বুধবার ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধককে সরকারি ছাড়পত্র দিল কানাডা প্রশাসন। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে টিকাকরণ। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই কানাডাকে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা!

মার্কিন ধাঁচে ওষুধ পরীক্ষা কানাডায়
আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটেন ও বাহরিনের পর কানাডাই তৃতীয় দেশ, যারা ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল। কানাডার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, "মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ বিভাগ (এফডিএ)-এর ধাঁচে কানাডাতেও দ্রুততার সঙ্গে ওষুধ পরীক্ষার পরিকাঠামো রয়েছে এবং এই কারণেই আমরা আশা রাখছি আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকাকরণ শুরু করার।"

১৬ বছরের উর্দ্ধের নাগরিকদের টিকাকরণ
কানাডার জাতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে জানান হয়েছে, প্রথম ধাপে দেশের ১৬ বছর বয়সী বা তার অধিক বয়সের নাগরিকদের টিকাকরণ করা হবে। কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, "সমস্তরকমের পরীক্ষা ও সাফল্যের হার খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।" বুধবারেই ব্রিটেনে প্রয়োগ করা হয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন, এখনও জনমানসে কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তা জানা যায়নি। এমতাবস্থায় এবার কানাডা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই 'তাড়াহুড়ো' হয়ে যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

২.৪৯ লক্ষ ডোজ পেতে চলেছে কানাডা
কানাডা সরকারের সূত্রে খবর, এ বছরের মধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের ২.৪৯ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ পৌঁছে যাবে দেশে। অন্যদিকে সাসকাতচেওয়ান অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের প্রত্যাশিত ডোজ পেয়ে গেলেই ১,৯৫০ জন কোভিডকর্মীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর, আমেরিকার এফডিএ এখনও রিভিউয়ের জন্য আটকে রেখেছে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনেকে। ছাড়পত্র পেলে আমেরিকাও হাঁটবে একই পথে।

প্রায় ৯৫% সফলতার হার ফাইজারের ভ্যাকসিনের
এদিকে ইতিমধ্যেই বৃহৎ আকারের সর্বশেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রায় ৯৫% সফলতার হারের দেখা গিয়েছে ফাইজারের টিকায়। এরপরেই ২রা ডিসেম্বর বিশ্বের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনকে সবুজ সিগন্যাল দেয় ব্রিটেন সরকার। কানাডা সরকারের খবর, ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য বিশেষভাবে অত্যধিক শীতল 'কোল্ড চেইন' তৈরি করতে হয়েছে দেশজুড়ে। সঠিক ভাবে সংরক্ষণের পরেই টিকাকরণের দিকে এগোতে পারবে সরকার।
কী এই মারণ ভাইরাস? বিশ্বজোড়া আতঙ্কের মাঝেও করোনাকে চেনে না ভারতের এই এলাকার মানুষ