ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে আমেরিকার, পিয়ংইয়ংকে হুঁশিয়ারি হোয়াইট হাউসের
কূটনৈতিকভাবে আলোচনার ধৈর্য ক্রমশই কমছে আমেরিকা, উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিতে এবার মার্কিন সেনাও প্রস্তুত, হুঁশিয়ারি আমেরিকার।
কূটনৈতিকভাবে আলোচনার ধৈর্য ক্রমশই কমছে আমেরিকার। উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিতে এবার মার্কিন সেনাও প্রস্তুত। একইমাসের জাপানকে লক্ষ্য করে পিয়ংইয়েংর দ্বিতীয় মিসাইল উৎক্ষেপণের পর এই প্রতিক্রিয়াই জানাল হোয়াইট হাউস। এদিকে জাপানকে উত্যক্ত করতে উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইলের তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদও। ইতিমধ্য়েই অপরিশোধিত তেলের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
শুক্রবারই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার জানান, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনকে কূটনৈতিক পথে সমাধানের ধৈর্য দ্রুতই শেষ হচ্ছে আমেরিকার। পরিস্থিতি যা তাতে আমেরিকা পথের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এবং যারা সামরিক অভিযানের কথা উড়িয়ে দিচ্ছিলেন, তাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে আমেরিকার হাতে সামরিক অভিযানের পথ এখনও রয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা একেবারেই চান না বলে জানিয়েছেন ম্যাকমাস্টার।
এদিকে আমেরিকার এই বক্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেননি কিম জং উনের। মিসাইল উৎক্ষেপণের পর শনিবারই তিনি সদর্পে জানিয়ে দেন, সামরিক বাহিনীর নিরিখে আমেরিকার সমতুল্য হয়ে ওঠাই এখন উত্তর কোরিয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমেরিকা যাতে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তাও না করে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবারই জাপানকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় মিসাইল ছাড়ে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার দাবি, মাঝারি পাল্লার এই হোয়াসং মিসাইল জাপানের হোক্কাইডোর ওপর দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩৭ কিমি ওপর দিয়ে মোট ৩৭০০ কিমি পথ অতিক্রম করে এই মিসাইলটি। গত বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়ার সহযোগী রাষ্ট্র চিন ও রাশিয়াকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব টিলারসন। কিন্তু বেজিং তাতে রাজি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।