বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন পঞ্জশির, তালিবানি চোখ রাঙানির জেরে রেডিয়ো-টিভি থেকে দেদার ছাঁটাই মহিলারা
বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন পঞ্জশির, তালিবানি চোখ রাঙানির জেরে রেডিয়ো-টিভি থেকে দেদার ছাঁটাই মহিলারা
সরাসরি যুদ্ধে নেমে পঞ্জশির দখল করা মুশকিল, একথা ভালোই বুঝে গিয়েছে তালিবানেরা। এদিকে এই পঞ্জশিরে বসেই তালিবানদের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন আফগানিস্তানের স্বষোষিত প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহ। এই এলাকা থেকেই নিয়মিত তালিবান বিরোধী টুইট করে দেশবাসীকে জাগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত আফগান প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। তাই পঞ্জশির উপত্যকাকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে শুরু করেছে তালিবানেরা।
বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন পঞ্জশির
ইতিমধ্যেই এই উপত্যকার টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। তালিবান নেতৃত্ব মনে করছে পঞ্জশির থেকেই গোটা দেশে গুপ্তচরদের মাধ্যমে তালিবানদের বিভিন্ন ভিতরের খবরাখবর সংগ্রহ করছেন সালেহ। আর এখানেই চাপে পড়েছে তালিব নেতারা। অন্যদিকে আফগানিস্তানের টিভি বা রেডিয়োতে আর শোনা যাবে না মহিলা কন্ঠস্বর। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল গানের উপরও।
মিলছে না মুখের কথা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানেরা দাবি করেছিল তারা নাকি বদলে গিয়েছে। নারী স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উদারতার রাস্তই নাকি তারা মেনে চলবে। সহজ ভাবে দেখতে গেলে ১৯৯৬ সালের পর দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান দখল করার পরই তালিবানের তরফে জানানো হয়েছিল, আগের তালিবানিদের সঙ্গে তাদের বিস্তর ফারাক রয়েছে। মহিলাদের শিক্ষা ও কাজ করার স্বাধীনতা দেওয়া হবে, তবে শরিয়া আইন মেনে।
রোজই জারি হচ্ছে ফতোয়া
যদিও বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য চিত্র। ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য জারি হয়েছে একাধিক ফতোয়া। কর্মক্ষেত্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপর। এবার নতুন ফতেয়াতেই গণমাধ্যম থেকেও মহিলাদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মহিলারা কাজে যোগ দিতে পারলেও অন্যান্য জায়গায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে চিত্র। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের একাধিক চ্যানেল থেকে সংবাদ পাঠিকাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বরথাস্ত করা হচ্ছে কাজ থেকে
এমনকী একাধিক অফিস থেকেও মহিলাদের জানানো হয়েছে, আপাতত তাদের কাজ থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। দর্শানো হয়নি কোনও নির্দিষ্ট কারণ। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। কান্দাহার, হেরাতের বহু অফিসেই ইতিমধ্যেই ছাঁটাই হয়ে গিয়েছে বহু মহিলা কর্মী। অবস্থা একই কাবুলেও। এমতাবস্থায় রোজই নতুন করে ফতোয়া জারি করতে দেখা যাচ্ছে তালিবানি মুখপাত্র সুহেল শাহিন জাবিদুল্লাহ মুজাহিদকে।