হাইকোর্টের নির্দেশে সাংসদ পদ খোয়ালেন পাক বিদেশমন্ত্রী, কিন্তু কেন, জেনে নিন
নওয়াজ শরিফের পর খোয়াজা আসিফ। পার্লামেন্টের সদস্য় পদ খোয়ালেন পাক বিদেশমন্ত্রীও। কারণ তদন্তে তাঁর কাছে আরব আমিরশাহীর ওয়ার্ক পারমিট মিলেছে। যে তথ্য তিনি ২০১৩ সালে নির্বাচনের সময় গোপন করেছিলেন।
নওয়াজ শরিফের পর খোয়াজা আসিফ। পার্লামেন্টের সদস্য় পদ খোয়ালেন পাক বিদেশমন্ত্রীও। কারণ তদন্তে তাঁর কাছে আরব আমিরশাহীর ওয়ার্ক পারমিট মিলেছে। যে তথ্য তিনি ২০১৩ সালে নির্বাচনের সময় গোপন করেছিলেন। তাই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সাংসদ পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী তথা সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে।
পাক সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক নেতা সাসদ বা বিধায়ক পদে থাকার অযোগ্য প্রমাণিত হলে তিনি আর কোনও রাজনৈতিক দলের পদেও থাকতে পারেন না। কয়েকদিন পরেই সেদেশে সাধারণ নির্বাচন। ফলে তার আগে দলের দুই প্রধান নেতাকে হারিয়ে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পাকিস্তানি মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত আসিফের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারেন তিনি। সেই পথই তাঁর সামনে খোলা আছে।
দিন কয়েক আগে আসিফের কাছে আরব আমিরশাহীর ওয়ার্ক পারমিট আছে বলে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পাকিস্তানি তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা উসমান দার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলার শুনানিতেই এই রায় দিয়েছে ইসলামাবাদ উচ্চ আদালত। এই উসমান দার শেষ সাধারণ নির্বাচনে শিয়ালকোট আসনে আসিফের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
সেবার তিনি বিপুল বাবধানে হেরে যান। এদিন রায় ঘোষণার পর তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি রাজনীতিতে আসিফের আর কোনও জায়গা নেই'। বস্তুত পাক সুপ্রীম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আসিফের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে আর কোনওদিন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।