১০০ সন্তানের পিতা হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন এক পাকিস্তানি নাগরিক!
কোয়েট্টা, ৩ জুন : ৩৫ বছর বয়সী পাকিস্তানি নাগরিক এখন হন্যে হয়ে খোঁজ করছেন চতুর্থ স্ত্রীর। কারণ তাঁর জীবনের লক্ষ্য ১০০ সন্তানের পিতা হওয়া। সেদিকেই এগিয়ে যেতে চান তিনি।
অবাধ্য স্ত্রীকে মারধর করতে পারবে স্বামী, নিদান পাকিস্তানের ইসলামিক কাউন্সিলের
এই দেশের প্রত্যেক বাসিন্দা পেতে চলেছেন মাসে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার নিশ্চিত রোজগার!
সর্দার জন মহম্মদ খিলজির বয়স ৪৬ বছর। এর মধ্যেই ৩৫ জন সন্তানের পিতা হয়ে গিয়েছেন তিনি। বালুচিস্তান প্রদেশের কোয়েট্টার বাসিন্দা খিলজির বিশ্বাস, এটা তাঁর ধার্মিক কর্তব্য, যত বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টা করা। সেই জন্যই অন্তত ১০০ জনের পিতা হতে চান তিনি।
খিলজি পেশায় একজন মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান। তাঁর বড় মেয়ে, ১৫ বছরের শাগুফতা নাসরিন বাবাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে বড় ছেলে, ১৩ বছরের মহম্মদ এশা জানিয়েছে, সে বাবার চেয়েও বেশি, অর্থাৎ ১০০-ও বেশি সন্তানের বাবা হতে চায়।
সমকামী যৌনতা উপভোগ করে মেয়ে গোরিলারাও!
এতজন মানুষের সংসার চালাতে প্রায় পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন খিলজি। তবে সাধারণ একজন টেকনিশিয়ান হয়ে কীভাবে এত টাকা সে জোগাড় করছে সেটা খোলসা করেননি তিনি।
বৌকে কীভাবে পেটাবেন! জাতীয় চ্যানেলে বাতলে দিচ্ছেন সৌদি পুরুষ
খিলজির জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত টাকাপয়সা নিয়ে কোনও সমস্যা তাঁর হয়নি। তবে ভবিষ্যতে পরিবার বাড়লে সমস্যা হবে। সেজন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে সে। যদি সরকার সাহায্য নাও করে, তবুও সমস্যা হবে না। কারণ আল্লাহর উপরে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ইসলাম মেনে পাকিস্তানি পুরুষেরা সর্বাধিক চারজনকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের প্রত্যেকের সমর্থন প্রয়োজন। এছাড়া আইনি সমর্থনও প্রয়োজন হয়।
তবে সেসবে কোনও সমস্য়া নেই খিলজির। তাঁর তিন স্ত্রী-ও স্বামীর এমন ইচ্ছাকে সমর্থন জানিয়েছেন। চতুর্থ সতীনকে ঘরে তুলতে তাই কোনও সমস্য়া হবে না তাদেরও। ফলে বাড়িতে সব সন্তান ও তিন স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছে খিলজির। আর পাশাপাশি চেষ্টা করে চলেছেন চতুর্থ কাকে স্ত্রী করে আনা যায় তার।