৫ আগস্ট সরেছিল ৩৭০, এদিন বিশ্বজুড়ে ভারত বিরোধী প্রচার চালাবে পাকিস্তান
৫ আগস্ট সরেছিল ৩৭০, এদিন বিশ্বজুড়ে ভারত বিরোধী প্রচার চালাবে পাকিস্তান
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই ঘটনারই দ্বি'বর্ষপূর্তি পালন করতে কোমর বেঁধে নামছে নয়াদিল্লি। এর বিপরীতে পাকিস্তানও চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে নেই। সূত্রের খবর, ওইদিন গোটা বিশ্বব্যাপী ভারত বিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা।
মোদীরাজে ৫ অগাস্ট
৫ অগাস্ট, গোটা বছরের ক্যালেন্ডারের আর পাঁচটা দিনের মতোই একটা সাধারণ দিন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? ইতিহাস হয়ত তা বলে না। ২০১৯ সালের এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল মোদী সরকার। সেদিন যেন দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছিল উপত্যকা জুড়ে। আইন অনুযায়ী, বাকি গোটাদেশের সঙ্গে যেন সেদিনই একাত্ম হয়েছিল ভূস্বর্গ। এবার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। আর ওদিকে পাকিস্তান কিনা এর সম্পূর্ণ বিপরীত নীতি গ্রহণ করেছে এই উপলক্ষে৷
কাশ্মীর ও ভারত-পাকিস্তান!
স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় পাকিস্তানের। বরাবর ভূস্বর্গকে তারা তাদের দেশের অংশ বলে দাবি করে এসেছে। এদিকে নয়াদিল্লিও বারংবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করে সেই বার্তাই গোটা বিশ্বকে দিয়েছিল মোদী সরকার। যার ফলে কিনা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইসলামাবাদের। নয়াদিল্লির এই আইন প্রত্যাহারের পর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর নিয়ে কাঁদুনি গাওয়া কমেছে ইমরান খানের দেশের৷
পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য কী!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আফগানিস্তানে তালিবানের সাহায্য করা৷ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সাহায্য করা৷ এমনকি পাক মদতপুষ্ট লস্কর সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের আফগানিস্থানে পাঠিয়ে অরাজকতার কাজ করে চলেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে বিশ্বদরবারে মুখ পড়ছে পাকিস্তানের। স্বাভাবিকভাবেই এখন ভারতবিরোধী প্রচার করে নিজেদের মুখরক্ষা চাইছেন ইমরান খান।
৫ অগাস্টে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা!
কিছুদিন আগেই দেশের গোয়েন্দারা সতর্ক করেছেন ৫ অগাস্ট উপত্যকায় হামলা নিয়ে৷ ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে একাধিকবার ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর ৫ অগাস্ট উপত্যকায় ৩৭০ সরানো হয়েছিল তারপর থেকে একবছর মোটামুটি শান্তই রয়েছে কাশ্মীর৷ বৃহস্পতিবার আবারও কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক কষছে পাকিস্তান।
UNO তে ব্যাকফুটে পাকিস্তান!
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে পাত্তা দিচ্ছে না UNO-ও। একটা সময় রাষ্ট্রসংঘে 'কাশ্মীর কার্ড' খেলায় ব্যস্ত থাকত পাকিস্তান। ভারতের শক্তিশালী ও স্পস্ট বিদেশনীতির কারণে সে সব থেকে এখন অতীত। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা সরানো কে আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেই মেনে নিয়েছে বিশ্ব৷
OIC তেও মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের!
কাশ্মীর ও ৩৭০ ধারা নিয়ে সৌদি আরব, ইউএই সহ অনেক ইসলামিক রাষ্ট্রও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিকভাবেই ইমরানের পক্ষে ভারতবিরোধী জোট গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি৷ তবে পাকিস্তান এখনও সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার কোন নতুন হাসির জিনিস নিয়ে পাকিস্তান উপস্থিত হয় তাই এখন দেখার!