হাফিজ সঈদের কারণেই আরও বেকায়দায় পাকিস্তান! এফএটিএফ-র ধূসর তালিকা থেকে আদৌও কী মিলবে মুক্তি?
হাফিজ সঈদের কারণেই আরও বেকায়দায় পাকিস্তান! এফএটিএফ-র ধূসর তালিকা থেকে আদৌও কী মিলবে মুক্তি?
আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ-র কোপ থেকে বাঁচতে গত কয়েক মাস থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিল পাকিস্তান। ধূসর তালিকা থেকে কালো তালিকায় চলে যাওয়া আটকাতে ইতিমধ্যেই দাউদ ইব্রাহিম সহ ২১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে ভিআইপি সাজানোরও চেষ্টা চালাচ্ছিল পাকিস্তান। এমতাবস্থায় এফএটিএফের তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠকে পাকিস্তান আদৌও কতটা ছাড় পায় নাকি নতুন করে রোষানলে পড়ে এখন সেটাই দেখার।
কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথা জানাজানি হতেই চাপ বেড়েছে পাকিস্তানের উপর
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বুধবার থেকেই শুরু হাওয়া এফএটিএফ-র কোপ থেকে কার্যত কোনও ভাবেই বাঁচার সুযোগ নেই ইমরান খানের। কারণ, বর্তমানে কোনওভাবেই তারা এফএটিএফয়ের শর্তপূরণ করে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে পারবে না। উল্টে পাক গুপ্তচর সংস্তা আইএসআই-র নির্দেশে লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সঈদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের হাত ধরে কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই চাপ বেড়েছে ইসলামাবাদের উপর।
হাফিজ সঈদের কারণেই কী ধূসর তালিকা থেকে এত সহজে মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চলতি মাসেই দুবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাধ্যমে ভারতে অস্ত্র পাচারের ছক কষেছিল পাকিস্তান। এমনকি বেশ কয়েক বার জঙ্গি অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা হয়। যদিও ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বর্তমানে পাকিস্তানের এই কুকীর্তির কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা ধূসর তালিকা থেকে এত সহজে মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের।
কী এই এফএটিএফ ?
আরও সহজ ভাবে বললে অর্থ তছরুপ ও জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থের জোগান বন্ধে একাধিকবার পাকিস্তানকে সতর্ক করা হলেও এই ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন থেকেছে তারা। উল্টে জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বেড়েছে পাকিস্তানে। বর্তমানে এই গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। এদিকে আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি, জঙ্গিদের অর্থের যোগান সহ একাধিক বিষয়ের উপর নজরদারি চালানোর জন্যই ১৯৮৯ সালে তৈরি হয় এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা এফএটিএফ।
এফএটিএফ-র প্রধান ৬টি শর্তপূরণেই ব্যর্থ পাকিস্তান
সূত্রের খবর, পাকিস্তান মূলত এফএটিএফয়ের প্রধান ৬টি শর্তপূরণেই ব্যর্থ হয়েছে। তারমধ্যে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজাহার ও হাফিজ সঈদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়াতেই বর্তমানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছে এফএটিএফ। একই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত আরও প্রায় ৪ হাজার জঙ্গিকেও নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারেও দীর্ঘদিন পাকিস্তানকে কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। এই পুরো পরিস্থিতির কথা মাতাই রেখেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা এফএটিএফ-র ধূরস তালিকা থেকে এত তাড়াতাড়ি ছাড়া পাবে না পাকিস্তান।
দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর, ছবি, ভিডিও দেখুন এক ক্লিকে
মাদ্রাসাতেই তৈরি হয় সব জঙ্গিরা, বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রীর