কান ধরলেন ইমরান! কাশ্মীর ইস্যুতে ক্ষমা চাইতে এবার সৌদি যাত্রা পাক সেনা প্রধানের
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি সৌদিকে সতর্ক করেছিলেন। সেই সতর্কবার্তার খেসারত অবশ্য পাকিস্তানকে চুকাতে হল। আর সৌদির মান ভঞ্জনে এবার সেদেশে পাক সেনার প্রধানকে পাঠাতে চলেছেন ইমরান খান। এমনটাই জানা গিয়েছে।
চিনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরবকে শোধ করছে পাকিস্তান
প্রায় দেউলিয়া অবস্থা পাকিস্তানের। এই আবহেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখে আর্থিক বিপদে ফেলে দিয়েছে এফএটিএফও। এই আবহেই চিনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরব থেকে নেওয়া ঋণ শোদ করতে হচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনের জেরে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ থাকায় সমস্যায় পড়ে পাকিস্তান।
সোদির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পাকিস্তানের
২০১৮-এর নভেম্বরে পাকিস্তানের জন্য সৌদি আরব ৬.২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার এবং ৩.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল ধারে দেওয়া। তবে এবার সৌদির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তানকে আর কোনও ভাবেই তারা ঋণে তেল দেবে না।
কাশ্মীর ইস্যুতে ওইসিতে দরবার
উল্লেখ্য, পাকিস্তান চেয়েছিল ৫ অগাস্টকে কেন্দ্র কের কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে নিন্দা করুক আরবদেশগুলি। তাই ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই ৫৭ সদস্যের ওআইসি তা নস্যাৎ করে। রাষ্ট্রসংঘের পরে এই মুসলিম দেশ সম্বলিত ওআইসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আর সেখানেই পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে ঘ্যানঘ্যান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ওআইসির কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান
সৌদি ছাড়াও পাকিস্তানকে একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্রবহু কোটি টাকার আর্থিক মদত দিয়েছে। তবে তার প্রেক্ষিতে সঠিকভাবে ঋণ শোধে অপারগ পাকিস্তান। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ সৌদি আরব। এছাড়াও পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ একাধিক আরব দেশ। সেই কারণেই ওআইসির কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান।
ব্যাকফুটে পাকিস্তান
সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোষ্ঠীভূক্ত বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হবে না। যদি পাকিস্তান কথা না শুনতে চায় তাহলে পাকিস্তান যেন আলাদাভাবে ওআইসির বৈঠক ডেকে সেখানে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলে। তবে এই বৈঠকে নয়।
গিলগিটে বেআইনিভাবে চিনকে খনন সত্ত্ব বিক্রি পাকিস্তানের! লাদাখ সংঘাতের নেপথ্যেও কি খনিজ পদার্থ?