কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধনের আগে ফের কথার খেলাপ পাকিস্তানের, বিপাকে শিখ পূণ্যার্থীরা
কথা দিয়েও কথা রাখল না পাকিস্তান। কর্তারপুর করিডরে প্রবেশ করতে শনিবারের তীর্থযাত্রীদের ২০ ডলার করে ফি দিতে হবে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল পাকিস্তান।
কথা দিয়েও কথা রাখল না পাকিস্তান। কর্তারপুর করিডরে প্রবেশ করতে শনিবারের তীর্থযাত্রীদের ২০ ডলার করে ফি দিতে হবে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল পাকিস্তান। শনিবার কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন, সেখানে যাওয়া সেদিনের তীর্থযাত্রীদেরও ফি দিতে হবে। এর আগে ১ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন রথমদিন শিখ তীর্থযাত্রীদের থেকে কোনও 'ফি' নেওয়া হবে না।
ইমরানের প্রতিশ্রুতি
১ নভেম্বর টুইট করে ইমরান জানিয়েছিলেন, 'ভারত থেকে যে শিখরা কর্তারপুরে আসছেন, তাঁদের দুটি জিনিসে ছাড় দিচ্ছি। তাঁদের পাসপোর্ট থাকার প্রয়োজন নেই। শুধু বৈধ পরিচয় পত্র থাকলেই চলবে। তাঁদের ১০ দিন আগে নাম নথিভুক্ত করারও দরকার নেই। উদ্বোধনের দিন ও গুরুজির ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁদের কোনও ফি-ও দিতে হবে না।'
কথার খেলাপ পাকিস্তানের
বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের ধার্য করা ২০ আমেরিকান ডলারের সার্ভিস চার্জের আপত্তি জানিয়ে এসেছিল ভারত ও সাধারণ তীর্থযাত্রীরা। যদিও আপত্তি সত্ত্বেও সেই ফি কমায়নি পাকিস্তান সরকার। তবে একদিনের জন্য ফি নেবে না বলে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে সেই কথা থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে এল ইমরান প্রশাসন। পুণ্যার্থীদের দাবি মেনে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর তিনদিন আগেই পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য।
পূণ্যার্থীদের কর্তারপুর করিডোর দিয়ে যেতে পাসপোর্ট লাগবে
এদিকে পূণ্যার্থীদের কর্তারপুর করিডোর দিয়ে যেতে হলে পাসপোর্ট লাগবে না বলেও জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে ভারতীয় শিখ পুণ্যার্থিদের করিডর ব্যবহার করার জন্য পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন এই কথা।
শনিবার উদ্বোধন কর্তারপুর করিডরের
শনিবার সকালে কর্তারপুর করিডরের ভারতের দিকের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এবং পাকিস্তানের দিকের উদ্বোধন করবেন ইমরান খান। পঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক মন্দির এবং কর্তারপুরের দরবার সাহিবকে যোগ করেছে কর্তারপুর করিডর। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে পঞ্জাব প্রদেশের নরওয়াল জেলায় রয়েছে এই মন্দির। এখানেই শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেব তাঁরজ জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।
ভারত ধ্বংস করতে চেয়েছিল কর্তারপুর সাহিব, পাক সরকারের অপপ্রচারের ব্যানার পড়ল গুরুদ্বারে
'আমি না গেলে কে যাবে?', কর্তারপুর যাওয়া নিয়ে মন্তব্য সানির