পাকিস্তান সন্ত্রাস মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, মাসুদ আজহারের উপরে নিষেধাজ্ঞার পরেই জানাল আমেরিকা
একসময়কার পরম মিত্র হলেও ৯/১১-র সন্ত্রাসবাদী হানার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে ক্রমশ চিড় ধরেছে পাকিস্তানের। সন্ত্রাসবাদকে পোষণ করা এবং আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ানোয় ইসলামাবাদ ওয়াশিংটনের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানকে পুরোপুরি অবজ্ঞা না করতে পারলেও নানা সময়েই সে-দেশের নেতৃত্বকে তুলোধোনা করতে ছাড়েনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তো বেশ কয়েকবার বিষোদ্গার করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এমনকী বলেছেন যে মার্কিনিদের থেকে নানা সময়ে সাহায্য নিয়েও বিনিময়ে তারা ওয়াশিংটনকে শুধুই ঠকিয়েছে।
কিন্তু এবারে ঘটল একটি চমকপ্রদ ঘটনা। ইমরান খানের পাকিস্তানের সঙ্গে নরম গরমে কথা বললেও এবারে এনএকটাই সুর নরম করল আমেরিকা এবং জানাল যে সে-দেশের দুইই অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব জঙ্গিদমনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে সাম্প্রতিককালে।
গত বুধবার, পয়লা মে, একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন আধিকারিক ওয়াশিংটনে সংবাদমাধ্যমকে জানান যে ওয়াশিংটন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা গলাতে চায় না কিন্তু এই প্রত্যাশা রাখে যে সে-দেশের নেতৃত্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হবে।

ইমরান খানের উপরে ভরসা আছে, বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক 'দ্য ডন'-এর একটি প্রতিবেদনে ওই মার্কিন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অসামরিক সরকারকে সমর্থন করে এবং সে-দেশের নবীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিও তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ওই আধিকারিক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করে বলেন যে তিনি পাকিস্তানের প্রকৃত মাটিতে বদল আনতে সচেষ্ট যদিও সেই উদ্যোগে তিনি কতটা সফল হবেন তা সময়ই বলবে। তিনি এও বলেন যে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও এই পরিবর্তনকে সমর্থন করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য রাখছে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের উপরে
পাকিস্তান শুধু কথা নয়, তা এখন করেও দেখাচ্ছে বলছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন ওই মার্কিন আধিকারিক। তবে অতীতে পাকিস্তানের সূচনা করার পরেও নানা অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপের কথা মনে রেখে তিনি বলেন যে আপাতত তাঁরা লক্ষ্য রাখছেন ইসলামাবাদ কী করে, তার উপর।
ওই আধিকারিক জানান যে ইমরান এক উন্নত পাকিস্তানের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরের জঙ্গি সমস্যার জলদি সমাধান করতে চাইছেন যাতে স্থিতিশীলতার মাধ্যমে পাকিস্তান অর্থনৈতিক ভাবে এগোতে পারে।

'মাসুদ আজহারের উপরে সিদ্ধান্তের পরে পাকিস্তানের দায়িত্ব বাড়ল'
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘ পাকিস্তানে অবস্থিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ-এর প্রধান হোতা মাসুদ আজহারকে 'আন্তর্জাতিক জঙ্গি' তকমা দেওয়ার ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই মার্কিন আধিকারিক বলেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের সন্ত্রাস-বিরোধিতার দায়িত্ব আরও বাড়ল।