দেউলিয়া পাকিস্তান চিনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরবের 'ধার' শোধে ব্যস্ত! ইমরানের সামনে কোন মহাবিপদ
দেউলিয়া পাকিস্তান চিনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরবের 'ধার' শোধে ব্যস্ত! ইমরানের সামনে মহাবিপদ
রাজকোষ যে খালি, তা বহু আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশের সরকারি আবাসন ও ভবনগুলির বহু মূল্যবান জিনিসপত্র নিলামে তুলেই পাকিস্তান নিজের পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় দেউলিয়া পাকিস্তান FATF থেকেও প্রত্যাখ্য়ান পেয়েছে। জঙ্গি মদতের জন্য পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখে আর্থিক বিপদে ফেলে দিয়েছে FATF ও। এমন অবস্থায় পাকিস্তান যা করছে ,তাতে বিপদ বাড়ছে ইমরানেরই।
চিনের টাকা সৌদিতে ...!
আন্তর্জাতিক ঋণ অনাদায়ের আইনি বিপাকে ইমরান। তাঁর পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে চিনের থেকে আর্থিক ঋণ নিয়ে সৌদি আরবরে থেকে নেওয়া ঋণ শোদ করতে হচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক দেউলিয়া সমস্যায় পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
ঘটনা পর্যায়
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান ৩বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছিল পাকিস্তান। সেই টাকা শোধ করতে অপারগ দেউলিয়া পাকিস্তান। এবার পোক্ত বন্ধু চিনের থেকে সেই টাকা নিয়ে ঋণ শোধে ব্যস্ত ইমরান। তবে চিনের থেকে মাত্র ১ বিলিয়ন ডালারই আপাতত ঋণ সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। যা ইমরানকে প্রবল বিপদের মুখে ঠেলেছে।
কীসের জন্য ঋণ?
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে একটি বড় প্যাকেজের আওতায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ধার দেয় সৌদি। উল্লেখ্য, ৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রজেক্টে ৩ বিলিয়ন ডলার নগদে নেয় পাকিস্তান। বাকি তৈল ও গ্যাস পরিবাহনের আওতায় থেকে সৌদি ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য করে পাকিস্তান।
ক'দিনে ঋণ শোধের কথা ছিল?
জানা নিয়েছে চুক্তি অনুযায়ী, ১ বছরের মধ্যে ওই ঋণ শোধের কথা ছিল। তবে ৩ বছর পর্যন্ত সময় ছিল পাকিস্তানের হাতে। এদিকে, আইএমএফএর কাছে সৌদিকেও কিছু অর্থ শোধ করতে হত। এমন প্যাঁচে পড়তেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে সৌদি। তারপরই দেউলিয়া রাজকোষের ছবি বেরিয়ে যায়।
চিন কীভাবে জাল বিছিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানে?
বিশ্বের একাধিক দেশে কেবলই অর্থলগ্নী ও অর্থ সাহায্য করে সেদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিজের কবলে করে নেওয়ার রাস্তায় হাঁটছে চিন। সেইভাবে পাকিস্তানকেও একই টোপের শিকারে রেখেছে বেজিং। পাকিস্তানের বড়সড় রেল প্রকল্পের চিনের বিনিয়োগ চোখে পড়ার মতো। চিন -পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরে ৯০ শতাংশ অর্থই চিন থেকে পেয়েছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় চিন পাকিস্তানকে খেলার পুতুলে রূপান্তরিত করেছে।
মিশন ২০২১, তিনগুণ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামলেন মুকুল-দিলীপরা