কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি এখনই নয়, আর কি বলছে পাক বিদেশ দফতর
কুলভূষণকে অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া হবে এই কারণেই তাঁর মা ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- তা নিয়েও সংবাদমাধ্যম এদিন প্রশ্ন তোলে। এই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ
এখুনি কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানাল পাক বিদেশ দফতর। কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর মা ও স্ত্রী-কে দেখার করার অনুমতি দিয়েছে পাক বিদেশ দফতর। পাকিস্তানে বিদেশ মন্ত্রকের দফতরে খুব শিগগিরি এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।
বৃহস্পতিবার কুলভূষণের ফাঁসির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানান, সাক্ষাৎ-এর সময় কুলভূষণ-এর মা ও স্ত্রী-কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন ভারত সরকার এই বিষয়ে কী বার্তা দেয় সে দিকেই এখন পাক প্রশাসন তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন ফয়জল।
কুলভূষণকে অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া হবে এই কারণেই তাঁর মা ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- তা নিয়েও সংবাদমাধ্য এদিন প্রশ্ন তোলে। এই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানান, কুলভূষণের উপরে এখুনি মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। কারণ, কুলভূষণের প্রাণ ভিক্ষার আর্জি এখনও খারিজ করা হয়নি। কুলভূষণকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়াটা সম্পূর্ণভাবেই মানবিকতা এবং ইসলামিক ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে।
কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভারত সরকারের গুপ্তচর সংস্থা '-র-এর চর। পাকিস্তানে নাশকতার উদ্দেশে তিনি প্রবেশ করেছিলেন। যদিও, ভারত সরকার এবং কুলভূষণের পরিবারের দাবি, ইরানে ছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে পাকিস্তানের গুপ্তরচর সংস্থা আইএসআই-এর লোকজন কুলভূষণকে অপহরণ করে। এরপর তাঁকে 'র-এর গুপ্তচর সাজিয়ে বিশ্বের সামনে হাজির করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কুলভূষণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতও পাকিস্তানের পেশ করা তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেট এবং পরিবারের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, এরপরও ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক আদালত-এর রায়কে সম্মান জানাচ্ছিল না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরে কুলভূষণ ইস্যুতে চাপে পড়ে পাক প্রশাসন কুলভূষণের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সাক্ষাৎ-এর ব্যাপারে সম্মতি দেয়। আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাদেশের উপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু, পাক সরকার সেই রায়কে কতটা সম্মান জানাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।