পাকিস্তানে স্টক এক্সচেঞ্জ হামলায় 'চিনা নিশানা'র তত্ত্ব! নয়া রিপোর্টে বালোচ আর্মি ঘিরে চাঞ্চল্যকর খবর
পাকিস্তানে কার্যত এদিন সকালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে ভয়াবহ হামলা হয়। সেদেশের স্টক এক্সচেঞ্জের এই হামলার ঘটনার সঙ্গে চিনকে নিশানায় রাখার তত্ত্ব জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি করছে এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট।
পাকিস্তানের হামলা ও বালোচ লিবারেশন আর্মি
এদিন পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার দায় স্বীকার করে বক্তব্য পেশ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। ভবিষ্যতেও পাক প্রশাসনের উপর তাদের হামলা জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখে তারা। প্রসঙ্গত, বালোচরা নিজেদের স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার তাদের জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।
বালোচ লিবারেশন আর্মি ও পাকিস্তানের অভিযোগ
ইউকে থেকে হায়ারবাইয়ার মারি পাকিস্তানের বুকে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে পরিচালনা করে। যে সংগঠন পাকিস্তানের কাছে জঙ্গি সংগঠন বলে আখ্যায়িত। উল্লেখ্য, ইসলামাবাদের দাবি এই সংগঠন ভারত দ্বারা উস্কানি পায়। যদিও দিল্লি বহুবার জানিয়ে দিয়েছে যে কোনও রকমের সন্ত্রাসে ভারতের মদত নেই। পাশপাশি, এই সংগঠনের সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই।
সোমবারের হামলা ও চিনকে নিশানার তত্ত্ব
নয়া রিপোর্ট বলছে, এদিনের পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার সঙ্গে চিনকে নিশানায় রাখার ঘটনা জড়িত থাকতে পারে। বালোচিস্তান আর্মি এর আগেও বহুবার পাকিস্তানে অবস্থিত চিনা নাগরিকদের নিশানায় রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক লাদা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই নয়া হামলা প্রাসঙ্গিক।
কেন এই নয়া হামলা প্রাসঙ্গিক?
পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্চের ৪০ শতাংশ স্ট্র্যাটেজিক শেয়ার চিনের কনসর্টিয়ামকে বিক্রি করা রয়েছে। যে কনসর্টিয়ামে রয়েছে চায়না ফিনান্সিয়াল ফিচার্স, শাংহাই স্টকএক্সচেঞ্জ,শেনজেন স্টকএক্সচেঞ্জ। এছাড়াও পাকিস্তান-চিনের যৌথ বিনিয়োগকারী বহু সংগঠন রয়েছে। আর সেই এক্সচেঞ্জই অদিন বালোচ আর্মির নিশানায় পড়ে যায়। যা নিয়ে জল্পনা চরমে ওঠে। এর আগে, করাচিতে চিনা কনস্যুলেটে হামলা করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। ২০১৮ সালের সেই ঘটনার পর চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে সওয়ার হওয়া একটি বাসে আত্মঘাতী হামলা চালায় বালোচ নেতারা। ফলে এদিনের ঘটনা ও লাদাখ পরিস্থিতির যোগ রয়েছে কী না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।