পাকিস্তান ভয়াবহ দেউলিয়া হওয়ার পথে! কোন অশনি সংকেত ইমরানের সামনে
পাকিস্তান ভয়াবহ দেউলিয়ার পথে! কোন অশনি সংকেত ইমরানের দেশের সামনে
গোটে বিশ্বের সঙ্গে পাকিস্তানেও ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে ইমরান খানের দেশে ১৩৬ জন আক্রান্ত করোনার প্রকোপে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবল দুর্গতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসের আঁতুর ঘর পাকিস্তান। সেখানে সেনার ৮ অফিসারের দেহে করোনার চিহ্ন মিলতেই পাকিস্তানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পাকিস্তানে করোনার থাবা
পাকিস্তানের দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশ থেকে ক্রমাগত করোনার হানা ছড়াতে শুরু করেছে গোটা দেশে। পাকিস্তানের দাবি, ইরান সীমান্ত তাফতান থেকে অই রোগ পাকিস্তানে ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমনার সরকার রয়েছে অন্য আরও এক বড় সংকটে।
করোনা নিয়ে কোন সংকটে ইমরান
পাকিস্তানের সেনার ৮ অফিসার এই মুহূর্তে করোনার গ্রাসে । আর তার জেরেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইমরানের কপালে। রবিবার থেকে ৮ অফিসারকে করোনা পজিটিভ পাওয়ার জেরে পাকিস্তানের সেনার বাকি জওয়ানরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সংস্থা সেনাকে ঘিরে ব্যাপক চিন্তা ইমরান সরকারের।
রাওয়ালপিন্ডিতে আতঙ্ক
রাওয়ালপিন্ডিতে সেনার হেডকোয়ার্টারে এই রোগ ছড়িয়ে যেতেই সেনা জওয়ানদের হেডকোয়ার্টারে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা জারি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা দেশ সিল করেছে ইমরান সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের স্কুল কলেজ।
কেন দেউলিয়ার পথে ইমরান?
একদিকে সন্ত্রাসে মদতের জেরে FATF পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেত্রে ঋণদানের পরিসরকে ছোট করে দিয়েছে। অন্যদিকে দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে ইমরান সরকার। মূলত পাকিস্তানেক করোনা টেস্টিং এর যোগ্য জায়গা নেই। আর তা স্বীকার করে নিয়েছে পাকিস্তানও। এমন পরিস্থিতিত এই বিশ্ব মহামারীর মোকাবিলায় ধীরে ধীরে পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার দিকে যাচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।
করোনার জেরে পাকিস্তানের কত ক্ষতি?
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে করোনা ভাইরাসের আক্রমণের জেরে পাকিস্তানে ৬১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানে ৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি শুধুমাত্র আসন্ন সময়েই হবে বলে এনুমান। এছাড়াও অনুমান সেদেশে ৯ লাখ মানুষ একসঙ্গে বেকারত্বের দিকে এগিয়ে যাবেন করোনার গ্রাসের ফলে।
করোনার জেরে পাকিস্তানের বাজারে হাহাকার!
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে , পাকিস্তানের বাজারে শুরু হয়ে গিয়েছে হাহাকার। কারণ বেশিরভাগ জিনিসই সেদেশে আমদানী করা হয় চিন থেকে। করোনার জেরে যেখানে চিন নিজেই বিধ্বস্ত সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কমতে শুরু করেছে।
চিনও বাঁচাতে পারবে না পাকিস্তানকে!
মূলত আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হলেই পাকিস্তান চিনের দিকে তাকায়। কিন্তু করোনা সংকটে চিন নিজেই ১৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে। ফলে কোনও মতেই পাকিস্তান চিনের সাহায্য পাবে না। অন্যদিকে সৌদির সঙ্গেও ইমরান সরকারের বনিবনা কম হচ্ছে। কারণ আরব দুনিয়ায় ইমরান শক্তি বাড়াতে গিয়ে সৌদির চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের আরও এক বন্ধু দেশ ইরানও নিজের দেশে করোনা নিয়ে জেরবার। ফলে আর্থিক মদতের আশা কম। এমন পরিস্থিতিকে সংকটের কালো মেঘ পাকিস্তানের আকাশে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের