কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার ভয়ে অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গি ঘাঁটি সরাল পাকিস্তান
সন্ত্রাস নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। একদিকে আন্তর্জাতিক মহল অন্যদিকে ভারতের টানা অভিযোগ।
সন্ত্রাস নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। একদিকে আন্তর্জাতিক মহল অন্যদিকে ভারতের টানা অভিযোগ। দুয়ের জোড়া আক্রমনে একের পর এক সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান। দেশের ভাবমূর্তি ঠিক করতে ভারত-পাক সীমান্তে গুলি বর্ষণ অনেকটাই কমিেয় ফেলেছে তারা। সূত্রের খবর পিওকে থেকে জঙ্গি ঘাঁটিও সরিেয় ফেলেছে তারা।
পুলওয়ামা হামলার পর এই পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে জৈশের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারত জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণের দাবি জানালেও পাকিস্তান কিন্তু তখন কিছুতেই মানতে রাজি হয়নি যে সেখানে কোনও জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। বার বার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। শেষে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির গিয়ে বালাকোটের সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছিল।
তারপরেই বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ না করলে এফএটিএফ তাকে কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। দেশের এই দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে চরম সংকট যাতে ঘনিয়ে না আসে সেকারণেই জঙ্গি দমনে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ইমরান সরকার। কয়েকদিন আগেই জামাতের প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে প্রায় ২০টি জঙ্গি শিবির বন্ধ করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ইমরান খানের আমেরিকা সফরের আগেই একের পর এক পদক্ষেপগুলি গ্রহন করা হচ্ছে। কারণ আমেরিকা সফরেই দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার একটা বড় সুযোগ রয়েছে পাক প্রধান মন্ত্রী ইমরান খােনর কাছে।
কারণ আমেরিকা পাকিস্তানকে যে বিপুল পরিমান অর্থ সাহায্য করে করেছিল তা ফেরত চাইতে শুরু করেছে। দেশের নিঃস্ব রাজকোষ থেকে সেই বিপুল পরিমান অর্থ পাকিস্তানের পক্ষে ফেরত দেওয়া অসম্ভব বললেই চলে। তাই কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মিিটয়ে ফেলতে চাইছে পাকিস্তান। তার জন্য আগে সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপ জরুরি। সেটা দেখাতেই একের পর এক এই পদক্ষেপ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।