ইমরান খান মুখ ফস্কে স্বীকার করেই নিলেন ভারতকে ছাড়া পাকিস্তানের চলবে না! বিশ্বমঞ্চে দিলেন কোন বার্তা
ইমরান মুখ ফস্কে স্বীকার করেই নিলেন ভারত ছাড়া পাকিস্তানের চলবে না! বিশ্বমঞ্চে দিলেন কোন বার্তা
মসনদে বসার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত বিরোধিতায় মুখর হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই বিরোধিতার মান আরও বাড়তে থাকে পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী সময়ে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির সেই নারকীয় জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেয় ভারত। এরপর ভারতের এয়ার স্ট্রাইক আর কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে ইমরান সরকার ভারত সমালোচনায় বিভোর হয়ে যায়। আর এবার সেই অবস্থান পাল্টে ভারত স্তূতি মুখ ফস্কে করে ফেললেন ইমরান খান।
ইমরানের বার্তা ভারত নিয়ে
ইমরান খান দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে যান। আর সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেই এলাকায় বাণিজ্যের উন্নতি হবে। বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। আর তাতে সুবিধা পাবে পাকিস্তান। আর ইমরান খানের এই বার্তার পর থেকেই ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে ইমরান খান সরকার ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর কতটা নির্ভর করে থাকে।
পাকিস্তানের উন্নতির সম্ভাবনা কতটা?
ইমরান খান বলেছেন,' পূর্বে আমাদের সরকার যেভাবে বারবার খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তার কারণেই আমাদের দেশের অনেক উন্নতির রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে।' এরপরই তিনি উন্নতির রাস্তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'আমাদের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন, প্রতিষ্ঠাব আর যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সরকার চালালে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না। '
চিনের অবদান স্বীকার
ইমারেনর মুখে এদিন পের একবার চেনা মেজাজে চিনের স্তূতিও উঠে আসে। তিনি বলেন, ' আমার চিনের থেকে সাহায্য পেয়েছি চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের মাধ্যমে। আমাদের কাছে চিনের সাহায্য রয়েছে অর্থনীতির উন্নতিতে। চিন সাহায্য করছে কৃষির উন্নতিতে । আর এই একটি জায়গাতেই পাকিস্তান এক্কেবারে অন্যপথে এগিয়ে যেতে পারে।'
চিন ও ইরানের বাণিজ্য নিয়ে ইমরান খান
এদিনের সভায় ইমরান সাফ বার্তায় ইঙ্গিত দেন যে চিনের বাণিজ্য তাদের কিভাব সাহায্য করছে। আর চিনের বাণিজ্যিক ভূমিকেই পাকিস্তান যে ব্যবসার প্রসারে ব্যবহার করতে চাইছে তাও জানিয়ে ফেললেন ইমরান। অন্যদিকে, ইরানের পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হলেও ব্যবসার উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইমরান। উল্লেখ্য, দাভোসের সভার মতো বিশ্ব আঙিনায় ফের একবার পাকিস্তানের চিন স্তূতি, ইমরান সরকারকে মার্কিন মুলুকের কাছে কোন স্তরে নিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।
আসন্ন দিল্লি নির্বাচনের সবচেয়ে ধনী প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ কত জেনে নিন