জেল থেকে বেরিয়েই 'খেলা ঘোরালেন' পাকিস্তানের! কিন্তু কে এই Shehbaz Sharif?
যে কোনও মুহূর্তে পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে পারেন ইমরান খান! সে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যে নাম উঠে আসছে তিনি হলেন শাহবাজ শরিফ। যিনি কিনা পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলনেতা হিসাবে রয়েছেন। গত ৩০ মার্চ ইমর
যে কোনও মুহূর্তে পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে পারেন ইমরান খান! সে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যে নাম উঠে আসছে তিনি হলেন শাহবাজ শরিফ। যিনি কিনা পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলনেতা হিসাবে রয়েছেন। গত ৩০ মার্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসে বিরোধীরা।
এমনকি সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরেও ইমরান খানের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ইস্তফা আমি দেব না। এই অবস্থায় টলমল পাকিস্তানের রাজনীতি। কিন্তু এই অবস্থায় সরকার বদল হলে বিপক্ষে থাকা শাহবাজ আসলে কে?
ব্যাক্তিগত জীবন এবং শিক্ষা
শাহবাজ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। এই মুহূর্তে পাক সংসদে বিরোধী দলনেতা। শাহবাজের জন্ম পঞ্জাবের লাহোরে। একটি পাঞ্জাবি ভাষী কাশ্মীরি পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা'র নাম মহম্মদ শারিফ। পাকিস্তানের নামকরা একজন ব্যবসায়ী এবং উদ্যোগপতিও বটে। শাহবাজও একজন ব্যবসায়ী। একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর নামে। পারিবারিক স্টীলে ব্যবসা রয়েছে। লাহোরের গর্ভমেন্ট কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকে আর্টসে স্নাতন করেছেন শাহবাজ। ব্যবসা করতে করতেই ১৯৮৫ সালে লাহোর চেম্বার অফ কমার্স এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন।
রাজনৈতিক কেরিয়ার-
ব্যবসা করতে করতেই রাজনীতিতে আসা। শাহবাজ ১৯৮৮ সালে পঞ্জাবের প্রত্যন্ত বিধানসভায় নেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর জাতীয় সংসদেও কাজ করেছেন। আর তা ১৯৯০ সালে। এরপর ১৯৯৩ সালে আরও একবার পঞ্জাব বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হন শাহবাজ। এরপর বিরোধী দলনেতা হিসাবে সংসদে কাজ করেন। এমনকি ১৯৯৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন নওয়াজের ভাই। কিন্তু ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে হওয়া সেনা অভ্যুত্থানের কারণে শাহবাজ তাঁর গোটা পরিবারকে নিয়ে লুকিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। সেখানেই কয়েক বছর কাটান। এরপর ২০০৭ সালে ফের একবার পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
নিজের জায়গা শক্ত করেন শাহবাজ
কিন্তু পাকিস্তানে ফিরেই ফের একবার নিজের জায়গা শক্ত করেন শাহবাজ। ২০০৮ সালে PML-N-জেতার পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয় ফের তাঁকে। ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের জন্যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন শাহবাজ। কিন্তু ২০১৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে তাঁর পার্টি মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু সেই পর্যন্ত নিজের কার্যকাল সম্পন্ন করেছেন শাহবাজ। অন্যদিকে ভাই নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য দাবি করে PML-N -এর সুপ্রিমো থেকে সরিয়ে শাহবাজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর শাহবাজকেই বিরোদী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
money laundering কেস
ডিসেম্বর ২০১৯ সালে National Accountability Bureau শাহবাজ এবং তাঁর ছেলে হামজা শরিফের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের কেলেঙ্কারির অভিযোগ করে। আর সেই অভিযোগে একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে NAB আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে শাহবাজকে গ্রেফতার করে। এবং দীর্ঘদিন জেলেও কাটাতে হয় তাঁকে। তবে গত বছর তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। আর এরপরেই সোজা দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসছে তাঁর নামই।