আমেরিকায় উপেক্ষিত ইমরান, বিমানবন্দরে এলেন না ট্রাম্পের কোনও আধিকারিক
ইমরানের আমেরিকা সফর ঘিরে অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছিল পাকিস্তান। দেশের দৈনদশা মুক্তির পথ ইমরান বের করে ফেলবেন। এমনই আশা ছিল। ইমরান নিজেও ভেবেছিলেন কিছু একটা করতে পারবেন তিনি।
ইমরানের আমেরিকা সফর ঘিরে অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছিল পাকিস্তান। দেশের দৈনদশা মুক্তির পথ ইমরান বের করে ফেলবেন। এমনই আশা ছিল। ইমরান নিজেও ভেবেছিলেন কিছু একটা করতে পারবেন তিনি। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে পা রাখতেই সেই স্বপ্নের জাল ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গিল। পাক প্রাইম মিনিস্টার আমেরিকায় এসেছেন সেটায় কিছুতেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সফরে গেলে সাধারণত ট্রাম্পের কোনও না কোনও আধিকারিক তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানা। কিন্তু ইমরান এতোটাই উপেক্ষিত যে আমেরিকার কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকও তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন না। এসেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি। এবং আমেরিকায় বসবাসকারী কয়েকজন পাকিস্তানী নাগরিক।
আমেরিকা সফরে ইমরান তাঁর সঙ্গে এনেছেন বিদেশ সচিব সোহেল মেহমুদ ও বাণিজ্যিক উপদেষ্টা আবদুল রেজ্জাককে। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ইমরান খানের। পাকিস্তানের উন্নয়নে যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য আমেরিকা করেছিল গত কয়েক বছর ধরে সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার অন্যতম কারণ সন্ত্রাসবাদ। জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই দুর্নাম ঘোচাতে তাই আমেরিকা সফরের আগেই জামাত জঙ্গি হাফিজ সৈইদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের জঙ্গি দমন শাখা। দেশের ভাবমূর্তি শোধরাতে পিওকে থেকে জঙ্গি শিবির গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এতে কতটা বরফ গলবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ এই সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেকটাই কোনঠাসা পাকিস্তান। এদিকে চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে দেশ। চিনও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না পাকিস্তানকে। এখন তাই ভরসা আমেরিকা। ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে পারলে কিছুটা হলেও সংকট কাটবে তাদের।
এদিকে খরচে কাটছাট করতে এবার একেবারে সাধারণের মতোই কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে আমেরিকা এসেছেন তিনি। হোটেলে থাকার কথা বাতিল করে আমেরিকায় নিযুক্ত পাক দূত আসাদ মজিদ খানের বািড়তে থাকবেন তিনি।