কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চায় পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কী প্রস্তাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চায় পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীকে মোদী কী প্রস্তাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
প্রবল আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। ক্রমশ শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে শুরু করেছে ভারতের এই প্রতিবেশি রাষ্ট্রে। তার উপরে সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত দেশ। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চড়াতে নারাজ পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন পর পর তিনবার যুদ্ধ করে পাকিস্তার বুঝেছে কী অবস্থা হয়। এবার আর যুদ্ধ নয় কাশ্মীর নিয়ে তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
তীব্র আর্থিক সংকটে পাকিস্তান
এগিয়ে চলেছে ভারত। অথচ পাকিস্তান ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। প্রবলভারে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে গোটা দেশে। দেশের মানুষ আরও গরিব হতে শুরু করেছে। তীব্র আকার নিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিয়ে চলে যাচ্ছে গোটা দেশ। ইমরান খানের সময় থেকেই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। ইমরান খান তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন। এখন যে পরিস্থিতি তাতে দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।
যুদ্ধ চায় না পাকিস্তান
দেউলিয়া হতে বসা পাকিস্তান সরকার বুঝতে পেরেছে যুদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে। যুদ্ধ করার মত অর্থ যে পাকিস্তানের কাছে নেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে শাহবাজ শরিফের কথায়। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে তিন দফায় যুদ্ধ করে ফেলেছে পাকিস্তান। আর যুদ্ধের পথে হাঁটতে নারাজ তারা। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন,ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর কাজেই যুদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও পরমাণু অস্ত্র নয় পাকিস্তানের যে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা হয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে।
ভারতকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, কাশ্মীর ইস্যু সহ একাধিক বিষয়ে তিনি ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে চান। তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করব যেন তিনি আলোচনায় বসেন। কাশ্মীর নিেয় বারবার বিবাদে না জড়িয়ে যেন দুই দেশ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে। সেই বার্তাই তিনি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এদিকে কয়েকদিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওল আলি ভুট্টো ভারতে পরমাণু হামলা হুমকি দিয়েছিল।
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান
ভারত একদিকে যেমন প্রতিদিন এগিয়ে চলেছে। ২০৩৭ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হতে চলেছে ভারত। সেই টার্গেট নিয়েই এগোতে শুরু করেছে মোদী সরকার। এদিকে ক্রমশ পিছিয়ে চলেছে পাকিস্তান। পিছোতে পিছোতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে পাকিস্তানের। এরই মধ্যে আবার পিওকে ফের ভারতের অংশ হতে চেয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পাক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের অংশ হওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেছে।