পাকিস্তানের আত্মসংযমকে ভারত যেন দুর্বলতা মনে না করে, হুঙ্কার শরিফের
ভারতীয় বাহিনী ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে, মানুষও মারা যাচ্ছে; আমরা চাই ভারত এব্যাপারে তদন্ত করে আমাদের হাতে তথ্য তুলে দিক, বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
ইসলামাবাদ, অক্টোবর ২৭ : পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বৃহস্পতিবার (অক্টোবর ২৭) বলেন যে ভারতীয় বাহিনী যদি দু'দেশের মধ্যে 'ওয়ার্কিং বাউন্ডারি' এবং নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন না থামায়, তাহলে পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে, জানিয়েছে সে-দেশের সংবাদমাধ্যম৷
"কোনওরকম প্ররোচনা না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে ভারতীয় সেনা অক্টোবর ২৫ এবং ২৬ তারিখে ছাপরার এবং হরপাল সেক্টরের ওয়ার্কিং বাউন্ডারিতে এবং ভিম্বার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তার আমি তীব্র বিরোধিতা করছি," পাক প্রধানমন্ত্রী একটি সরকারি বিবৃতিতে জানান৷ তিনি এও বলেন যে এর ফলে তাঁদের দুই ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে এবং নয়জন আহত হয়েছে৷
ভারতকে সাবধানবাণী শুনিয়ে শরিফ বলেন যে যদি ভারতের পক্ষ থেকে এই লঙ্ঘন না থামানো হয়, তাহলে পাকিস্তান এর যোগ্য জবাব দেবে৷ তিনি বলেন পাকিস্তান বরাবর ধৈর্য দেখিয়ে এসেছে শান্তির স্বার্থে কিন্তু তার এই আত্মসংযমকে যেন দুর্বলতা হিসেবে দেখা না হয়৷ তিনি বলেন পাকিস্তান শান্তিকামী দেশ এবং মনে করে সবরকম সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব৷
ওয়ার্কিং বাউন্ডারির ওপারে ভারতীয় সেনা গুলি চালানোয় পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক আহত হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানি সংবাদসূত্র৷
শরিফ বলেন পাকিস্তান বরাবর দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অটল থেকেছে কিন্তু ভারত তার এই সততার মূল্য দেয়নি৷
তিনি বলেন, ভারতের উচিত তার বাহিনীর এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত করা এবং প্রাসঙ্গিক সমস্ত তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া৷ "ভারত এখুনি তার বাহিনীকে নির্দেশ দিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন না করতে এবং সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষকে লক্ষ্য করে অস্ত্রপ্রয়োগ না করতে," শরিফ কড়া ভাষায় বলেন৷
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয় যে ভারত যেমন কাশ্মীরে দমননীতি চালাচ্ছে, তেমনি নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনওরকম প্ররোচনা না থাকা সত্ত্বেও আগ্রাসী নীতি নীতি নিয়ে চলছে৷