সাবমেরিনে এবার কি ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা! পাকিস্তানের দাবিতে নয়া জল্পনা
করাচি থেকে ভেলায় চেপে এবং পরে মাছ ধরার ট্রলারে চেপে মুম্বইয়ের বুকে ঢুকেছিল লস্কর-ই-তইবার ১০ জঙ্গি।
করাচি থেকে ভেলায় চেপে এবং পরে মাছ ধরার ট্রলারে চেপে মুম্বইয়ের বুকে ঢুকেছিল লস্কর-ই-তইবার ১০ জঙ্গি। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও আশঙ্কা করছেন ফের সমুদ্রেপথে পাকিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গি হামলা সংগঠিত করা হতে পারে। এমনকী, মঙ্গলবার নৌসেনা প্রধানও সমুদ্রপথে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তবে, ভারত যে জলপথে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে তাও জানিয়েছেন তিনি।
নৌসেনা প্রধানের এই বক্তব্যের কয়েক ঘ্টার মধ্যেই যা খবর এসেছে তাতে একজন ভারতীয় গর্ববোধ করতেই পারেন। পাকিস্তানের জলসীমায় একটি ভারতীয় সাবমেরিন ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি নৌ-সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের জলসীমায় ভারতীয় এই সাবমেরিনটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জলের নিচে দিয়ে সন্তর্পণে এগিয়ে আসছিল। কিন্তু, পাক নৌসেনার উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন এবং অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির সার্ভাইল্যান্সে ভারতীয় সাবমেরিনটি নাকি ধরা পড়ে যায়। যদিও, পাকিস্তানের জলসীমায় ভারতীয় সাবমেরিনের প্রবেশ নিয়ে ভারতীয় নৌসেনা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের দাবি-তে প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে কি এবার জলপথে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা চলছে? কিছু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞর মতে, ভারতীয় সাবমেরিন যদি সত্যি সত্যি পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে থাকে তার পিছনে হামলার কারণ না অনুমান করাটাই ভালো। কারণ, জলপথে এত সহজে নিজেদের এক্সপোজ করে ভারত সাবমেরিন নিয়ে যাবে না। পাকিস্তানের দাবি সত্য হলে এর পিছনে দুটো কারণ থাকতে পারে। এক- পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়াটা ভুলভাবে হয়েছে অথবা পাকিস্তানকে দেখিয়ে দেওয়া জলপথে ভারতের নৌ-শক্তির মাত্রাটা। মুম্বই হামলার আগে ভারতীয় নৌসেনা ও কোস্ট গার্ড-এর নজরদারিতে যে ফাঁক ছিল এবার যে তার আর পুনরাবৃত্তি হবে না সেটাই বুঝিয়ে দিতে সাবমেরিন নিয়ে এই অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তান নৌসেনার দাবি, তারা ইচ্ছে করলেই সাবমেরিনটা-কে ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু, শান্তি বজায় রাখতে তারা তেমন কিছু করেনি। পাকিস্তানের হাতে বন্দি ভারতীয় বায়ুসেনা-র পাইলট অভিনন্দন বর্তমান-কে মুক্তি দিয়ে ইমরান খান যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে তা সাবমেরিন ধ্বংসে কালিমালিপ্ত হত। তাই ভারতীয় সাবমেরিনটাকে পাকিস্তানের জলসীমা থেকে দূরে পাঠানো হয় বলেও দাবি করেছেন পাক নৌ-সেনার মুখপাত্র।