গিলগিট নিয়ে পাকিস্তানকে চিনের 'ধূর্ত' মদত! কোন পন্থায় বিস্তারবাদী অস্ত্রে শান দিচ্ছে বেজিং
গিলগিট বালতিস্তানকে প্রভিন্সিয়াল স্টেটাস দিয়েছে পাকিস্তান। যে বিষয়টি কার্যত মেনে নেয়নি দিল্লি। এমন পদক্ষেপকে অবৈধ তকমা দিয়েছে তারা। এদিকে চিনের প্রচ্ছন্ন মদতে পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপ বলে দাবি বহু সূত্রের। তবে সঠিক সময়ে চিন এমন সংবেদনশীল বিষয় পাকিস্তান প্রসঙ্গে নয়া ছকে চিন। কোন পন্থায় এমন ছক খেলেছে বেজিং দেখা যাক।
গিলগিট নিয়ে চিনের অবস্থান
চিনের মুখ পাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ' এই ইস্যুটি (কাশ্মীর সমস্যা ও গিলগিট) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক সময় থেকে চলছে। এটার সমাধান করা হোক । দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে তার সমাধান হোক।' প্রসঙ্গত , পিওকেতে চলছে চিনের তামাম সিইপিসি প্রজেক্ট। যার জন্য চিন পাকিস্তানের ওপর নেপথ্যের চাপ বহুভাবে চাপিয়েছে বলে খবর। তবে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে যখন সমর্থনের প্রসঙ্গ উঠেছে,তখন 'মৌনং সম্মতিং লক্ষণম' এর ভাবনায় পরোক্ষে পাকিস্তানকে সমর্থন করে দিয়েছে বেজিং।
কাশ্মীর নিয়ে চিনের বার্তা
চিন জানিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে চিরকালই চিনের অবস্থান একই থাকবে। আর তা স্পষ্ট করে দেওয়াই আছে। বেজিংয়ের দাবি, পাকস্তান ভারতের মাাঝের এই সংকটের বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা উচিত।
পাকিস্তান নিয়ে মুখে কুলুপ, অথচ কাশ্মীরে ৩৭০ নিয়ে চিনের বার্তা..
পাকিস্তান গিলগিট নিয়ে প্রভিন্সিয়াল স্টেটাস রাখতেই চিন একটিও বিবৃতি দেয়নি। অথচ ভারত যখন ৩৭০ ধারা নিয়ে কাশ্মীর বড়সড় পদক্ষেপ নেয়, তখন চিন তার ক্রমাগত বিরোধিতা করতে থাকে। তারা জানায়, 'চিন্তিত আমরা কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে'। এদিকে, এদিন বেজিং জানাচ্ছে, যে কাশ্মীর নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট। অন্যদিকে, পাকস্তানের অধিকৃত কাশ্মীর ও ভারতের অংশ কাশ্মীর নিয়ে চিনের দুমুখো নীতী প্রকট!
গিলগিট নিয়ে চিনের স্বার্থ
ক্রমাগত পিওকের বুকে চিনের প্রজেক্ট পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষুণ্ণ করছে বলে আওয়াজ উঠছে গিলগিটে । এদিকে, যাঁরাই সরব হচ্ছেন, তাঁদের রাতারাতি গুম করা হচ্ছে। এদের নেপথ্য়ে রয়েছে পাকিস্তানে আসা চিনের নতুন রাষ্ট্রদূত। এমনই দাবি স্থানীয়দের। আর এভাবেই পাকিস্তানের বুকে চিন জায়গা কব্জা করতে চাইছে, গিলগিট কার্ড দিয়ে শুরু করে!
ভারত বিরোধীতা ও লাদাখ ইস্যুতে চিন
শুধু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নয়, লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলেও মানেনা চিন। এমন বার্তাও তারা দিয়েছে। এদিকে, অরুণাচল প্রদেশও যে ভারতের অংশ তাও মানতে রাজি নয় বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে চিনের পাকিস্তানর প্রতি সখ্যত কেবলই বিস্তারবাদের স্বার্থ ছাড়া কিছু নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞমহলের। কারণ প্রচুর অর্থ বিনিোগ করে পিওকেতে তাবড় বিদ্যুৎ প্রজেক্ট করছে চিন। যে অর্থ পাাকিস্তানের ইমরান সরকারকে লোভাতুর করেছে। পাশাপাশি, চিনের সহায়তায় তারা সৌদির ঋণ মিটিয়েছে। ফলে চিনের চাপে মাথা নুইয়ে পাকিস্তান গিলগিট নিয়ে বেজিং সমর্থন জুটিয়ে নিয়েছে।