চরম অর্থ সঙ্কটে দেশ, প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটে কাটছাঁটে বাধ্য হল ইমরানের পাকিস্তান
দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আর্থিক সংকট সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। একাধিক দেশের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি।
দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আর্থিক সংকট সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। একাধিক দেশের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে পাকিস্তানের উন্নয়ন খাতে দেওয়া অনুদানের টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের উপর এই নিয়ে রীতিমত চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও আর্থিক সাহায্যের বেলা হাত গুটিয়ে নিয়েছে বেজিং।
দেশের এই চরম আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এই প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট কাটছাঁট করল পাকিস্তান সরকার। ইমরান খানের এই চরম পদক্ষেপে দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেলেই দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা ছিল না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ ঘফুর টুইটে জানিয়েছেন, 'প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট কমানোয় দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় কোনও আপোস করা হবে না। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমানভাবেই প্রস্তুত থাকবে পাকিস্তান।'
পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া সেনাপ্রধানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশ্বের দরবার প্রথম থেকেই কোনঠাসা পাকিস্তান। পুলওয়ামা হামলার পর সেই চাপ আরও বেড়েছে। চিন একমাত্র পাশে থাকার কথা বললেও মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় সিলমোহর দিয়ে পাকিস্তানকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে দেশের আর্থিক সংকট নিয়ে জর্জরিত পাকিস্তান। ১১ জুন সাধারণ বাজেট পেশ করা কথা ইমরান সরকারের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সামরিক অস্ত্রকেনায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেখানে দাঁড়িয়ে ২০১৯ সালে ইমরান সরকারের এই সিদ্ধান্তে কতটা ফল প্রসূ হবে সেটাই এখন দেখার।