ভারতের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি করা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর গদি টলতে শুরু করেছে! কী ঘটছে ইসলামাবাদে
ভারতের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি করা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর গদি টলতে শুরু করেছে! কী ঘটছে ইসলামাবাদে
সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ব্রতামেন এক্কেবারে তলানিতে। আরব দেশের মধ্যে অন্যতম শক্তিধর এই দেশ সৌদি এতকাল পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিল। তবে হিসাব পাল্টে গেল ২০২০ সালে ইমরানের জমানায়। আর সেই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ইসলামাবাদে একাধিক রাজনৈতিক তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইসলামাবাদ ও রিয়াধ সম্পর্ক
গোটা ঘটনার সূত্রপাত দেউলিয়া পাকিস্তানের আর্থিক দুর্যোগ নিয়ে। সেদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে , সৌদি আরবের থেকে নেওয়া ঋণের শোধ অনাদায়ের দায় চড়তে বসেছিল ইসলামাবাদের কাঁধে। শেষে চিনের থেকে টাকা নিয়ে সৌদির ঋণ মেটাতে চলেছে পাকিস্তান। আর এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েছে।
একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্রের কাছে ঋণী ইমরানের পাকিস্তান
এদিকে সৌদি ছাড়াও পাকিস্তানকে একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্রবহু কোটি টাকার আর্থিক মদত দিয়েছে। তবে তার প্রেক্ষিতে সঠিকভাবে ঋণ শোধে অপারগ পাকিস্তান। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ সৌদি আরব। এছাড়াও পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ একাধিক আরব দেশ। সেই কারণেই ওআইসির কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান।
সৌদির থেকে ঋণ নেওয়ার ঘটনা
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান ৩বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছিল পাকিস্তান। সেই টাকা শোধ করতে অপারগ দেউলিয়া পাকিস্তান। এবার পোক্ত বন্ধু চিনের থেকে সেই টাকা নিয়ে ঋণ শোধে ব্যস্ত ইমরান। তবে চিনের থেকে মাত্র ১ বিলিয়ন ডালারই আপাতত ঋণ সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। যা ইমরানকে প্রবল বিপদের মুখে ঠেলেছে।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী কেন বিপাকে?
বৈদিশিক নীতিতে গাফিলতির দায় এবার ইমরান সরকার চাপাতে চাইছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর দিকে। ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর ইস্য়ুতে নানা সময়ে হম্বিতম্বি করেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কিন্তু শত্রুর (ভারত) সঙ্গে শত্রুতা করতে গিয়ে বন্ধুর (সৌদি আরব)) সঙ্গে বন্ধুত্ব তিনি ধরে রাখতে পারেননি। আর সেই আলোকেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আপাতত ইমরান সরকারের চক্ষুশূল।
ব্যর্থতার তালিকা বিশাল
পাক বিদেশমন্ত্রী কাশ্নীর ইস্যুকে ৫ অগাস্ট ইসলামি দেশগুলির ওআইসি সংগঠনের বৈঠকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোষ্ঠীভূক্ত বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হবে না। যদি পাকিস্তান কথা না শুনতে চায় তাহলে পাকিস্তান যেন আলাদাভাবে ওআইসির বৈঠক ডেকে সেখানে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলে। তবে এই বৈঠকে নয়। এরপর কার্যত পাকিস্তানের মুখ পুড়ে যাওয়ায়, ইমরান এই মুহূর্তে তাঁর বিদেশমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
সমুদ্রের জলে মিশছে হাজার-হাজার টন তেল! মরিশাসকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত