পাকিস্তানে সরকারি ভাষা হচ্ছে মান্দারিন, চিনকে তোয়াজ করতে মাথা বেচার জোগাড় ইসলামাবাদের
চিনকে বাড়তি সুবিধা করে দিয়ে অর্থলাভ করতে পাকিস্তান উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। আর তাই 'বড়দা' চিনকে তুষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান।
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যতটা শত্রুতা, ঠিক ততটাই মৈত্রী চিনের সঙ্গে। পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে সিপিইসি বা চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তৈরি নিয়ে দুই দেশের উৎসাহ চরমে। চিনকে বাড়তি সুবিধা করে দিয়ে অর্থলাভ করতে পাকিস্তান উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। আর তাই 'বড়দা' চিনকে তুষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান। এজন্যই মান্দারিনকে পাকিস্তানের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
সিপিইসি করিডোরের সঙ্গে মানুষের যোগযোগকে মসৃণ করতে এই পদক্ষেপ বলে পাকিস্তান সরকার দাবি করলেও ঘটনা হল, এশিয়ার বৃহত্তম শক্তি চিনকে হাতে না রেখে উপায় নেই পাকিস্তানের। ভারতের পর চিনের সঙ্গেও শত্রুতা করে ফেললে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি জানিয়েছেন, গত সত্তর বছরে পাকিস্তান ইংরেজি, উর্দু, আরবি ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার চিনা ভাষা মান্দারিনকে দেওয়া হচ্ছে।
অথচ ঘটনা হল, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত পাঞ্জাবি ও পাশ্তু ভাষাকে এখনও সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানিরা এখন অনেক করে চিনা ভাষা শিখতে চাইছেন যাতে সিপিইসি প্রকল্পে ও চিনে নানা প্রকল্পে কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান চিনের আইসিবিসি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। তার আগে গত অক্টোবরেও এই একই পরিমাণ টাকা পাকিস্তান ঋণ নিয়েছে। তারপরই দুদিনের মধ্যে চিনের মান্দারিন ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিল পাকিস্তান। যা নিয়ে অনেকেই ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন।