সিপিইসি চুক্তি পর্যালোচনা করবে ইমরানের পাকিস্তান, বেজিংকে নয়া বার্তা ইসলামাবাদের
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সরকার এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল। যা ভারতের কাছেও কূটনীতিগতদিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সরকার এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল। যা ভারতের কাছেও কূটনীতিগতদিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু চর্চিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর চুক্তি এবার নতুন করে পর্যালোচনা করে চিনের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সরকার সূত্রে খবর, ইমরান খানের নব নির্বাচিত সরকারের মতে, সিপিইসি করিডোর প্রকল্প রিভিউ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই। নতুন সরকারের যুক্তি এক দশক আগে চিনকে অযাচিতভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। চিনা কোম্পানিগুলি তার সুযোগ নিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে চুক্তি পর্যালোচনার।
৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পরে চারিদিক খতিয়ে দেখতে ইমরান খান ইতিমধ্যে ৯ জনের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। কমিটির সদস্য শিল্পপতি আবদুল রাজ্জাক জানান, সিপিইসি নিয়ে চিনের সঙ্গে দেনা-পাওনা বুঝে নিতে পারেনি আগের সরকার। হোমওয়ার্ক ঠিক ছিল না। ফলে পাকিস্তানের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
চিনের সংস্থাগুলি করের ছাড় সহ অনেক সুবিধা পেয়েছে। তবে পাকিস্তানের কোনও অসুবিধা করে অন্য দেশকে সুবিধা দেওয়াটা বোকামি হবে বলে পাকিস্তানের এতদিনে বোধোদয় হয়েছে। তাই এবার পাকিস্তান কোমর বেঁধে নেমেছে। সেদেশের কোনও সংস্থা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে তা ইমরান খানের সরকার নিশ্চিত করতে চাইছে।
এদিকে চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ওয়াইয়ের দাবি, এই অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের উপরে কোনওরকম আর্থিক বোঝা তৈরি করবে না। একবার কাজ শুরু হয়ে গেলে পাকিস্তানের লাভই হবে। তবে চুক্তি পর্যালোচনা অবশ্যই করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান এই সময়ে দারুণ আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। সেদেশের টাকার দামও অনেক পড়ে গিয়েছে। ফলে আইএমএফের কাছে যেমন সাহায্য চাইতে চলেছে ইমরানর দেশ, তেমনই চিন ও সৌদি আরবের কাছ থেকে নতুন ঋণও নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।