ক্রমবর্ধমান উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসের আবহেই আফ্রিকান দেশগুলিতে কূটনৈতিক সম্পর্কে জোর পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হিসাবে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে 'কুখ্যাতি’ রয়েছে পাকিস্তানের। এদিকে সাম্প্রতিককালে আফ্রিকাতে একাধিক ইসলামী জঙ্গি সংগঠন নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বলে খবর। এই আবহেই আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিশেষ জোর দিতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানকে।

২০১৯ সাল থেকেই এই পথে হাঁটছে ইসলামাবাদ
২০১৯ সাল থেকেই আফ্রিকান দেশগুলিতে নতুন করে কূটনৈতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও একাধিক কূটনৈতিক মিশনকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে পাকিস্তান। সদ্য একথা জানিয়েছেন এই বিষয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। নিরাপত্তা আধিকারিকদের মতে পাকিস্তানের এই নয়া কৌশলে চাপ বাড়তে পারে ভারতেরও।

ভারতের জন্য অশনি সংকেত ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধারে আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও অন্যদিকে ওই দেশ গুলিতে উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদী দলগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য বিপদঘণ্টা বাজাতে পারে। এই নয়া কৌশলে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেকটাই ক্ষমতা বাড়বে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যার জেরে ক্রমবর্ধমান অবস্থার জেরে আন্তার্জাতিক পরিসরে পাকিস্তানের যে একঘরে অবস্থা তা কাটিয়ে উঠতেও এই পন্থা আংশিক ভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।

আফ্রিকান দেশগুলিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের সহায়তা
এদিকে আফ্রিকান দেশগুলিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দীর্ঘদিন থেকেই নিজের অবদান রেখে আসছে ভারত। ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া এবং ঘানার মতো দেশগুলিতে সামরিক একাডেমী স্থাপন বা পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিকবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সাহায্যও করেছে। এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই গোটা আফ্রিকাতেই একাধিক উগ্রপন্থী ইসামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধি অনেকাংশেই বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিসেষজ্ঞরা। যাদের মূল লক্ষ্যই গোটা বিশ্বজুড়ে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

শক্তিবৃদ্ধি করছে কোন কোন জঙ্গি সংগঠন ?
সূত্রের খবর, এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদী দল গুলির আর্থিক লেনদেন ও বৈদেশিক বিভিন্ন কাজকর্মের ক্ষেত্রেই অনেকক্ষেত্রেই তারা ভারতের মাটিকেও ব্যবহার করতে সচেষ্ট হয়েছে। এদিকে সোমালিয়ার মতো দেশগুলিতেও সম্প্রতি নিজেদের অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি করেছে আইসিস, আল কায়েদার, বোকা হারামের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী গুলি। পাশাপাশি একাধিক দেশে ক্ষমতা দখলের লড়াইও জারি রয়েছে। একইসাথে মূল সন্ত্রাসী দল গুলির সহযোগী দল হিসাবেও মাথাচাড়া দিতে দেখা গেছে জামায়াত নুসরত আল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (জেএনআইএম) এবং ইসলামিক স্টেট ইন গ্রেটার সাহারার (আইএসজিএস) মতো শাখা সংগঠন গুলিকেও।

বিশ্বাসঘাতক পাইলটকে দল থেকে তাড়ানো হোক! মনে পাথর রেখে গেহলটের কাছে দরবার বিধায়কদের