ভারতকে টক্কর দিতে গোপনে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার বাড়াচ্ছে পাকিস্তান
পরমাণু অস্ত্রে শক্তিধর দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতকে টক্কর দিতে পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার বাড়ােত শুরু করেছে পাকিস্তানও।
পরমাণু অস্ত্রে শক্তিধর দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম। পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে ভারতকে টক্কর দিতে পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার বাড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তানও। পুলওয়ামা হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে পরমাণু বোমা নিয়ে আস্ফালন শুরু করেছিল দুই দেশই। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেই বলেছিলেন দুই দেশেই পরমাণু শক্তিধর। কাজে যুদ্ধ হলে কারোর পক্ষেই ভাল হবে না।
সে পর্ব মিটে গেলেও পাকিস্তান কিন্তু নিজেদের প্রস্তুত রাখতে শুরু করেছে। এই চরম অর্থ সংকটের মধ্যেও পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের কাছে এই মুহূর্তে ১৫০-১৬০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। ভারতের কাছে শুধু মাত্র পরমাণু বোমাই রয়েছে ১৩০-১৪০ টি। এছাড়া অস্ত্র তো রয়েইছে। স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা সংস্থার বার্ষিক তালিকায় এই তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় চিন সবচেয়ে এগিয়ে। চিনের কাছে ২৯০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।
২০১৮ সালের শুরু থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। তাতে ২৪০ থেকে ২৯০-এ পৌঁছেছে চিনের পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার। অন্যদিকে পাকিস্তান ১৪০-১৫০ থেকে ১৬০এ পৌঁছেছে। ইজরায়েল ৮০ থেকে ৯০-এ পৌঁছেছে পরমাণু অস্ত্রভান্ডার। এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর কোরিয়া, এক বছরের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রভান্ডার দ্বিগুণ করে ফেলেছে তারা। ১০-২০ থেকে বািড়য়ে ২০-৩০ করা হয়েছে। সেতুলনায় ভারত কিন্তু বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরমাণু বোমার সংখ্যায বৃদ্ধি ঘটায়নি। ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু বোমাই রয়েছে। পাকিস্তানের এই পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েও পরমাণু অস্ত্র শক্তিবৃদ্ধি করায অন্যসমীকরণ দেখছে রাজনৈতিক মহল।