শোধরাতে ব্যর্থ, ইমরানের শত চেষ্টাতেও FATF-এর ধূসর তালিকাতে পাকিস্তান
ইমরান খানের শত চেষ্টাতেও নিস্তার পেল না পাকিস্তান। ২৭টি অ্যাকশন পয়েন্টের শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রাখল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। আদতে ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের চোখ রাঙানিতেও শোধরানোর ইঙ্গিত দেয়নি পাকিস্তান। কাশ্মীরে বিচ্ছিনতাবাদী জঙ্গিদের সাহায্য করা ছাড়াও তালিবানদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে পাক সেনা। এই সব আবহেই সেই ধূসর তালিকাতেই স্থান হল পাকিস্তানের। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই তালিকাতে থাকতে হবে পাকিস্তানকে।
কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার চোখ রাঙানি ছিল পাকিস্তানের উপর
সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করার পথে ইমরান খানের সরকার যে হাঁটবে না, তা ইমরান খানের সরকারের কাজে একপ্রকার স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে ২০১৮ সাল থেকেই পাকিস্তান এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকাতে। শুধু তা নয়, গত বছর থেকেই কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার চোখ রাঙানি ছিল পাকিস্তানের উপর। তাও শোধরায়নি পাকিস্তান।
খাদের ধার থেকে গড়িয়ে পড়া থেকে বেঁচে যাচ্ছে
গত বছর থেকেই পাকিস্তান এফএটিএফ-এর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্মুখীন। তবে প্রতিটি বৈঠকেই কোনও না কোনও ভাবে সেই খাদের ধার থেকে গড়িয়ে পড়া থেকে বেঁচে যাচ্ছে ইমরানের সরকার। তবে অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে না। কালো তালিকায় না গেলেও এই মুহূর্তেও পাকিস্তান সেই ধূসর তালিকাতেই রয়েছে।
এফএটিএফ নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ
যদিও পাকিস্তানের বরাবরের অভিযোগ, এফএটিএফ-কে রাজনৈতিক ভাবে চালিত করে পাকিস্তান বিরোধী করে তুলছে ভারত। তবে এই অভিযোগ পুরো মিথ্য়া। সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ৷ বিভিন্ন মহলের দাবি, তারা সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে।
ইমরানকে একের পর এক আল্টিমেটাম
সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান রুখতে, অর্থনৈতিক তছরুপের দায়ে ২০১৮ সালের জুনে প্যারিসের এই নজরদারি সংস্থাটি পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে৷ এরপর থেকেই তারা সন্ত্রাসবাদ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য একের পর এক আল্টিমেটাম দিয়ে আসছে ইমরান খানের সরকারকে।
লাদাখ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে ৩ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে নির্মাণ কাজ চিনা সেনার