গিলগিটে বেআইনিভাবে চিনকে খনন সত্ত্ব বিক্রি পাকিস্তানের! লাদাখ সংঘাতের নেপথ্যেও কি খনিজ ভাণ্ডার?
গিলগিট বালতিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই চিনকে বিক্রি করে আসছে পাকিস্তান। এবার সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চিনকে গিলগিট বালতিস্তানে খনন সত্ত্ব দিল ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, এই সত্ত্ব দিতে গিয়ে ইসলামাবাদ নিজেদের সংবিধানের তোয়াক্কাও করেনি।
২০০০টি খনির লিজ চিনকে দিয়েছে পাকিস্তান
জানা গিয়েছে গিলগিটে সোনা, ইউরেনিয়াম ও মলিবদেনামের প্রায় ২০০০টি খনির লিজ চিনকে দিয়েছে পাকিস্তান। এই প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবেশ বিষয়ক বিধিনিষেধ মানা হয়নি। এমনিতেই গিলগিট বালতিস্তান ভারতের এলাকা। পাকিস্তান এই এলাকা বেআইনি ভাবে দখল করে রেখে দিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৫৭ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে এই চুক্তি
এদিকে পাকিস্তানের সংবিধানের ২৫৭ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে এই চুক্তি। সেই ধারা অনুযায়ী পাকিস্তানের সরকরার এভাবে গিলগিট বালতিস্তান এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদের খননের সত্ত্ব অন্য কোনও দেশকে দিতে পারে না। তাছাড়া এসব প্রাকৃতিক সম্পদের খনির সত্ত্ব বিক্রির ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট'
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা একটু একটু করে পাকিস্তান চিনকে 'দান' করেছে। এই অঞ্চলের এই এলাকাগুলি চিনের হাতে তুলে দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর আদতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট।'
লাদাখে ভারত-চিন সামরিক দ্বন্দ্বের পিছনে রয়েছে অন্য কারণ
এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞরই মত, কেবল সীমান্ত দ্বন্দ্ব কিংবা রাজনৈতিক কৌশল নয়, উত্তর লাদাখে ভারত-চিন সামরিক দ্বন্দ্বের পিছনে রয়েছে অন্য কারণও। লাদাখের এই অঞ্চলে উপস্থিত থাকতে পারে গ্যাস ও তেল সহ হাইড্রোকার্বন রিজার্ভ এবং ভূ শক্তিও। বিভিন্ন গবেষণায় এই শীতল মরুভূমি অঞ্চলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে আসছে।
লাদাখ অঞ্চলে হাইড্রোকার্বন মজুত থাকার সম্ভাবনা
দীর্ঘদিন ধরেই লাদাখ অঞ্চলে হাইড্রোকার্বন মজুত থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান করা হচ্ছিল। কারণ এই অঞ্চলের একটি বড় অংশ টেথিস সাগরের সমুদ্রতল ছিল যা কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে পশ্চিম ও মধ্য হিমালয় হিসেবে গড়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রাচীণ সমুদ্রতলের নিচে হাইড্রোকার্বন মজুত থাকতে পারে। টেথিয়ান হিমালয় জ়োনটি লাদাখের জ়ানসকার পর্বতের ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে, যা ভবিষ্যতে খনিজ গ্যাস বা তেল সন্ধানের অন্যতম এলাকা হয়ে উঠতে পারে।
ভারত ও চিনের তেলের চাহিদা
ভারত ও চিন, উভয়ই পেট্রল ও ডিজ়েল অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। ভারত তেলের চাহিদার ৮২ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করে। তবে ২০২২ সালের মধ্যে পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার, ইথানল ফুয়েলের ব্যবহার করে এই চাহিদা ৬৭ শতাংশে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে চিন তাদের মোট তেল চাহিদার ৭৭ শতাংশই বাইরে থেকে আমদানি করে। সে ক্ষেত্রে নতুন খনিজ শক্তির অবস্থানের খোঁজ ভবিষ্যতে শক্তির সুরক্ষা এনে দিতে পারে।
চিনের আর্টিলারি ধ্বংস হবে নিমেষেই! ভারতীয় সেনার হাতে অত্যাধুনিক রেডার তুলে দেবে ডিআরডিও