আফগানিস্তানে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তান দায়ী নয়, ট্রাম্পকে পাল্টা পাকিস্তানের
পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তানও। বিশ্বের কাছে সত্যিটা জানাবে পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।
পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তানও। বিশ্বের কাছে সত্যিটা জানাবে পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। আফগানিস্তানে তাদের ব্যর্থতার জন্য কখনই পাকিস্তানকে দোষ দেওয়া যাবে না। এমনটাই মন্তব্য করেছে পাকিস্তান।
ইংরেজি বছরের প্রথম দিনেই পাকিস্তানের দিকে আক্রমণ শানিয়ে যাবতীয় প্রচার নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে মিথ্যা ও প্রতারণা করেছে বলে টুইটারে মন্তব্য করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
The United States has foolishly given Pakistan more than 33 billion dollars in aid over the last 15 years, and they have given us nothing but lies & deceit, thinking of our leaders as fools. They give safe haven to the terrorists we hunt in Afghanistan, with little help. No more!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 1, 2018
যদিও এর পরেই জবাব দেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তান। বিশ্বকে সত্যিটাই জানাবে পাকিস্তান। টুইটারে জানান পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ।
We will respond to President Trump's tweet shortly inshallah...Will let the world know the truth..difference between facts & fiction..
— Khawaja M. Asif (@KhawajaMAsif) January 1, 2018
একই সঙ্গে অপর একটি বিবৃতি জারি করা হয় পাকিস্তান সরকারের তরফে। জানানো হয়, আফগানিস্তানে তাদের (আমেরিকা) ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে কোনওভাবেই দায়ী করতে পারে না আমেরিকা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নানা পদক্ষেপের দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের কোনও অস্পষ্টতা নেই বলেই মন্তব্য করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকার সঙ্গী তারা। আমেরিকাকে যোগাযোগ ব্যবস্থা, মিলিটারি বেস ব্যবহার, গোয়েন্দা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের। এইভাবেই আল-কায়দাকে গত ১৬ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। বদলে তারা(আমেরিকা) পাকিস্তানকে অবিশ্বাসের চোখেই দেখেছে বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তান। আমেরিকার বিরুদ্ধে সীমান্ত-পাড়ের জঙ্গিদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের টুইটের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে পাকিস্তানের সেনা কর্তৃপক্ষ। বাৎসরিক যে অনুদান তারা আমেরিকার থেকে পায়, তা আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতার হিসেবেই দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তৃপক্ষ।