পাকিস্তান ফের একবার সন্ত্রাস ইস্যুতে মহাবিপাকে পড়তে চলেছে! FATF নিয়ে কতটা ব্যাকফুটে ইমরান
ফের একবার সন্ত্রাস ইস্যুতে বিপাকে পড়তে চলেছে ইমরান খান সরকার। এমনিতেই পাকিস্তানে কোণঠাসা ইমরান সরকার। ক্রমাগত বিরোধীরা সরব হতে শুরু করেছে ইমরানের বিভিন্ন নীতি নিয়ে। তার ওপর কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লির চালে ধাক্কা খেয়েছে ইমরান সরকার। এমন পরিস্থিতিতে FATF থেকে বাঁচতে মরিয়া চেষ্টায় রয়েছে ইমরানের শাসনকালের ইসলামাবাদ।
FATF শাপমুক্তি বহু দূর!
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা FATF মূলত সন্ত্রাসে আর্থিক মদকের ওপর নজরদারি করে। এই সংগঠনের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। যার ফলে পাকিস্তান বাড়তি আর্থিক সাহায্য বিশ্বের অন্য খাতগুলি থেকে পেত ব্যর্থ হচ্ছে। এমন অবস্থায় দেউলিয়া ইসলামাবাদের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে ২০২০ সালেও FATF এর সেই তালিকা থেকে পাকিস্তান বের হতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুপারিশ পূরণে ব্যর্থতা
সন্ত্রাসে যে পাকিস্তান মদত দিচ্ছে না , তার প্রমাণের জন্য পাকিস্তানকে ৪০ টি পয়েন্টের সুপারিশ (লক্ষ্যমাত্রা) কার্যত দিয়েছিল FATF। তবে তারমধ্যে মাত্র ২ টি কার্যকর করেছে পাকিস্তান। ৪০ টি সুপারিশের মদ্যে পাকিস্তান ৪ টা মেনিন। আংশিকভাবে ২৫ টি মেনেছে। আর ২ টি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুপারিশ মেনেছে। ফলে FATF এ পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
ধূসর থেকে কালো তালিকা ও পাকিস্তান
মনে করা হচ্ছে পাকিস্তান যেভাবে এগোচ্ছে সন্ত্রাস ইস্যুতে, তাতে ২০২০ সালের অক্টোবরে আসন্ন FATF বৈঠকে তাদের শাপমুক্তি হবে না। বরং ধূসর থেকে কালো তালিকার দিকে যেতে পারে পাকিস্তান । তবে এক্ষেত্রে ৩৯ টি দেশের মধ্যে ৩ টি দেশ পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারে। তারা হল চিন, তুরস্ক , মালয়েশিয়া। পাকিস্তানের বন্ধু তিন দেশ কালো তালিকার হাত থেকে ইসলামাবাদকে আটকে দিতে পারে।
পাকিস্তান লবিইস্ট ফার্মের শরণাপন্ন
আমেরিকার লবিইস্ট ফার্ম ক্যাটোল হিলকে কাজে লাগিয়ে FATF এর ধূসর তালিকা থেকে বেরোনোর ছক কষেছে পাকিস্তান। এই মার্কিনি সংযোগ সংস্থার প্রচার নির্ভর কাজে নিজের সন্ত্রাসী ভাবমূর্তি সরিয়ে FATF এর সামনে নিজেকে নিরীহ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন ইসলামাবাদ।