চিন, মুসলিম দেশগুলির ভ্রুক্ষেপ নেই, পাকিস্তান একাই লড়ছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি নিয়ে
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও দেশই তেমন ভ্রিক্ষেপ করছে না। এমনকী আমেরিকাও না। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাশ্মী ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব ঘিরে
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও দেশই তেমন ভ্রিক্ষেপ করছে না। এমনকী আমেরিকাও না। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাশ্মী ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই আমেরিকাও কাশ্মীর নিয়ে ভারতে সিদ্ধান্তকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। এমনকী চিনও তেমন মাথা ঘামাচ্ছে না এই ইস্যুতে।
লাদাখ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হল কি না তাতে কিছু আসে যায় না বেজিংয়ের। অথচ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত ডোকা লা নিয়ে চরম পর্যােয় চলে গিয়েছিল দুই দেশ। লাদাখ সীমান্তেও প্রায়ই চিনের সঙ্গে রেষারেষি লেগে থাকে ভারতীয় বাহিনীর। লাদাখের একটি অংশ চিন নিজের বলে দাবি করে থাকে। তারপরেও চিন কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ নিেয় একটি শব্দও খরচ করেনি। লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর কোনও কথাই বলেনি বেজিং।
অথচ পাকিস্তানের চিন্তার অন্ত নেই। কাশ্মীর নিয়ে একাই লড়ে চলেছে পাকিস্তান। ৩৭০ ধারা বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করা হয়, কাশ্মীর নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত কখনওই নিতে পারে না ভারত, কারণ কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত বিতর্কিত ভূখণ্ড।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পাকিস্তান সব রকম আইনি পদক্ষেপ করবে বলে ঘোষণা করেছে পাক বিদেশমন্ত্রক। অথচ পিওকে নিয়ে পাকিস্তান কিন্তু পৃথক কোনও অস্তিত্ব রাখতে দেয়নি। এমনকী বালোচের ক্ষেত্রেও ২০০৯ সালে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন আসিফ জারদারি। পিওকে এবং বালোচের স্বায়ত্ত্ব শাসন বিলোপ করা হয়েছিল। কাজেই এর পরে পাকিস্তানের আর কাশ্মীরের অবস্থান নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে সমালোচনা করা সাজে না। কেউ পাকিস্তানের কথায় মাথা না ঘামালেও তারা একাই পর এক প্রতিক্রিয়া দিয়ে চলেছে।
[আরও পড়ুন:কেমন আছে কাশ্মীর? ভূস্বর্গ থেকে কী 'গ্রাউন্ড রিপোর্ট' পাঠালেন অজিত ডোভাল ]