কাশ্মীরে হিজবুল জঙ্গি বুরহানের মৃত্যুতে একসুরে ভারতকে তোপ পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ ও জঙ্গি হাফিজ সঈদের
নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : সরকারের প্রধান হোক অথবা জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব, পাকিস্তানে সকলেই যে একে অপরের হাত ধরাধরি করে চলেছে, ফের একবার তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। [কাশ্মীরে নিহত হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির জঙ্গি হয়ে ওঠার কাহিনি]
ভারতের কাশ্মীরে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানি মারা যাওয়ার খবরে এক সুরে গর্জে উঠলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি সংগঠনের প্রধান তথা মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জেরে পুলিশ এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানি। এদিন সেই জঙ্গির সমর্থনে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বুরহানকে নিজের বক্তৃতায় 'কাশ্মীরি নেতা' বলেও পরিচয় দেন।
পুলিশের মতে, এই বুরহান ওয়ানি হিজবুল কম্যান্ডার হিসাবে শয়ে শয়ে কাশ্মীরি যুবকের মগজধোলাই করে চলেছিল। অন্তত একশো জন যুবক বুরহানের কথায় জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা কাশ্মীরকে জঙ্গিদের আঁতুরঘরে পরিণত করার চেষ্টায় মেতেছিল বুরহান।
এরপরই গোপন এনকাউন্টারে বুরহানকে খতম করে পুলিশহবাহিনী। যার পরে বিশেষ করে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শরিফের অফিস জানিয়েছে, কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানি সহ নিরীহদের খতম করছে ভারত সরকার।
অন্যদিকে ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় থাকা জঙ্গি নেতা হাফিজ সঈদ আরও একধাপ এগিয়ে ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এমন আরও অনেক বুরহান ওয়ানি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। পাকিস্তানে হাফিজ সঈদের সেই ভাষণ মঞ্চে উপস্থিত ছিল আর এক হিজবুল নেতা সঈদ সালাউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, হাফিজ সঈদ বারবার ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক কথা বলে এসেছে। মুম্বই হামলায় তার যোগাযোগের প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হলেও পাক সরকার তা মানেনি। আর এবার হাফিজ সঈদ আর পাক সরকারের প্রধানের সুর ফের একবার মিলেমিশে গেল।