করোনায় ল্যাজেগোবরে অবস্থা, তাও রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে কাঁদতে ব্যস্ত ইমরানের পাকিস্তান
করোনা নিয়ে বিশ্বকে একমঞ্চে জোটবদ্ধ হওয়ার জন্যে রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভাতেও কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে নিজেদের জাত চিনিয়ে দিল পাকিস্তান। শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক প্রাক্কালে আয়োজিত হয় ইকোনমিক ও সোশাল কাউন্সিলের ভার্চুয়াল সভা। সেখানে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিকে পাকিস্তানের তরফে এই সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সদ্য করোনা মুক্ত হওয়া পাক মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
ফের রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর নিয়ে ভিত্তিহীন কান্না পাকিস্তানের
এদিনের বৈঠকের মূলমন্ত্র ছিল, করোনা পরবর্তী সময়ে একজোট হয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি। তবে এর মাঝেই পাকিস্তানের হয়ে শাহ কুরেশি কাশঅমীর ইস্যু উত্থাপন করে অভিযোগ আনেন যে সেখানে সেনা মোতায়েন করে ভাত সরকার অত্যাচার চালাচ্ছে ও অনৈতিক কাজ করছে। যদিও ভারত এসব ভিত্তিহীন অভিযোগকে কোনও ভাবেই আমল দেয় না। কারণ ভারতের প্রথম থেকেই বক্তব্য কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
সভায় পাকিস্তানকে অগ্রাহ্য ভারতের
এদিকে পাকিস্তানের এই উস্কানিমূলক মন্ত্যব্যকে অগ্রাহ্য করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক ও সোশাল কাউন্সিলের ভার্চুয়াল সভায় বার্তা দেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির মধ্যে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।
করোনা নিয়ে ভারতকে তোপ ইমরান খানের
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের এই বৈঠকের আগে করোনা নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন ইমরান খান। একটি টুইটে তিনি লিখেছিলেন, 'পাকিস্তান বিশ্বে এমন একটি সৌভাগ্যবান দেশ যেখানে হাসপাতালে বিশেষত ইনটেনসিভ কেয়ারে করোনার দেরে মৃতের সংখ্যা কমেছে। যা হয়নি আমাদের দুর্ভাগা প্রতিবেশী ভারতে। এই পজিটিভ ট্রেন্ড সম্ভব হয়েছে বুদ্ধিদীপ্ত লকডাউনের নীতির জন্য। আর গোটা দেশ সরকারি এসওপি মেনেছে বলেই এমন টা করা গিয়েছে।' যদিও বিশেষজ্ঞদের মত, পিপিইর দাবি করায় যে দেশে চিকিৎসকরা পুলিশের হাতে অত্যাচারের শিকার হয়, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এহেন দাবি অত্যন্ত হাস্যকর।
পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতি
পাকিস্তানে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছএ মাত্র ৭৫ জনের, যেখানে ভারতে সেই সংখ্যাটা ৯৭৩০। বিশ্বে সব থেকে বেশি করোনা পরীক্ষা করা দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এদিকে প্রতি মিলিয়নে মৃত্যুর নিরিখে পাকিস্তান 'এগিয়ে' ভারতের থেকে। পাকিস্তানে অফিসিয়ালি প্রতি মিলিয়নে মৃত্যু হচ্ছে ২৫ জনের। যেখানে ভারতে কোমরবিডিটি সহ এই মৃত্যুর হার ১৯ জন।
ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি
এদিকে গতকালের সভায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি আরও একবার জোরদার করলেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দ্রুত রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের পথে হাঁটা দরকার বলেই মনে করেন তিনি। বললেন, 'রাষ্ট্রসংঘে বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিফলিত হওয়া দরকার।'
করোনা আবহে থমকে থাকা বিশ্ব অর্থনীতি দেখছে চিনের ম্যারাথন দৌড়!