রাষ্ট্রসঙ্ঘে গাজার ছবিকে 'ভারতের মুখ' বলে দাবি, নিজেই নিজের মুখ পোড়াল পাকিস্তান
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে 'ভারতের মুখ' দেখাতে গিয়ে লেজে গোবরে হলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মহিলা লোধি, ভারতকে বিঁধতে যে ছবি তিনি তুলে ধরলেন তা আসলে কাশ্মীরের নয় গাজা ভূখণ্ডের ছবি
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে 'ভারতের মুখ' দেখাতে গিয়ে লেজে গোবরে হলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মলিহা লোধি। ভারতকে বিঁধতে যে ছবি তিনি তুলে ধরলেন তা আসলে কাশ্মীরের নয় গাজা ভূখণ্ডের ছবি, তাও আবার ২০১৪ সালের। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে আগেই প্রকাশিত এই খবরের লিঙ্ক তুলে ধরতেই মুখ লুকোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লোধি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে টেররিস্তান আখ্যা দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় বলেন, ভারত যেখানে আইআইটি গড়ছে, সেখানে পাকিস্তান এলইটি তৈরি করছে। এতবড় কথার পর কি পাকিস্তান জবাব না দিয়ে থাকতে পারে। তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মলিহা লোধি হাতে একটি ছবি নিয়ে বলতে ওঠেন। রক্তাক্ত একটি মেয়ের ছবি তুলে ধরে তিনি বলেন, এটাই ভারতের মুখ। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছররার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই বক্তব্যের পরই পাকিস্তানে লোধির নামে জয়জয়কার শুরু হয়।
কিন্তু গোল বাধে খানিকক্ষণ বাদেই। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের লিঙ্ক খুঁজে বের করে কয়েকটি ভারতীয় সংবাদসংস্থা। ব্রিটিশ সংবাধমাধ্যমে যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল তা ২০১৪ সালের। জানা যায়, ছবিটি গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়লি বিমান হানায় আহত কিশোরী রাওইয়া আবু জোমার। গাজার শিফা হাসপাতালে ছবিটি তুলেছেন মার্কিন চিত্রসাংবাদিক হাইদি লেভিন। ইজরায়েলের বিমান হানায় নিজের পরিবারকে হারায় রাওইয়া আবু জোমা।
ব্যস, আর যায় কোথায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে কটাক্ষের তির ছুঁড়তে থাকে নেটিজেনরা। সত্যতা যাচাই না করেই নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতকে আক্রমণ করতে এই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্নও উঠতে থাকে। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত আচরণ করে মলিহা লোধি আসলে পাকিস্তানকেই আরও কোনঠাসা করে দিলেন বলে মনে করছে কূটনৈতিকমহল।
[আরও পড়ুন: 'আমরা আইআইটি গড়ছি, ওরা এলইটি তৈরি করছে', রাষ্ট্রপুঞ্জে সুষমার নিশানায় পাকিস্তান]