একঘরে হয়ে গেল পাকিস্তান, রাষ্ট্রসংঘে চিন ছাড়া বাকি চার সদস্য ভারতেরই পাশে
রাষ্ট্রসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাউকে পাশে পেল না পাকিস্তান। চিন ছাড়া পাকিস্তান এক ঘরে হয়ে গেল। পাকিস্তানের আবেদন সাড়া দিল না কেউই।
রাষ্ট্রসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাউকে পাশে পেল না পাকিস্তান। চিন ছাড়া পাকিস্তান এক ঘরে হয়ে গেল। পাকিস্তানের আবেদন সাড়া দিল না কেউই। আমেরিকা থেকে রাশিয়া সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল পাকিস্তানের দিক থেকে। একমাত্র চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল। পাকিস্তানের সঙ্গে গলা চড়িয়ে বলল, ভারত অনৈতিকভাবে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এদিন ভারতেরই পাশে দাঁড়িয়েছে। চিনের দাবি মেনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসলেও সেখানে কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা নথিতে ঠাঁই পায়নি। কারণ কাশ্মীর ইস্যু দুই দেশের বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিনিধি জানান, ভারত-পাকিস্তানের স্থিতাবস্থার পক্ষে রাশিয়া। তারা মনে করে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি মেনে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত। কেউ আমাদের শত্রু নয়, উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনও একউই যুক্তি দেখিয়েছে। একমাত্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন।
এদিন চিনের দাবি মেনে ১৯৬৫ সালের পর ফের রাষ্ট্রসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। ৫৫ বছর আগে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে রুদ্ধ্বদ্বার বৈঠক হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে। আবারও চিন ও পাকিস্তানের দাবি মেনে বৈঠকে সম্মতি দেয় রাষ্ট্রসংঘ। কিন্তু সেই বৈঠক নথিতে ঠাঁই পায়নি অন্য চার সদস্য দেশের আপত্তিতে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেস জানান, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে রাষ্ট্রসংঘ। উভয় পক্ষেরই বক্তব্য শোনা হয়েছে। এবার রাষ্ট্রসংঘ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এদিন রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিল চিন ও পাকিস্তান।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক থেকে গোটা বিশ্বকে ভারত কড়া বার্তা দেয়। পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বললেন, কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, পাকিস্তান অযথা এর মধ্যে নাক গলাচ্ছে। ভারত কাশ্মীরের আইনব্যবস্থাকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে সরকার চালানোর সুবিধার্থে।
পাকিস্তানের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ভারতের অবস্থান পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে। সেই কারণেই দ্রুত আলোচনা চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হন তাঁরা। পাকিস্তানও চিনের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারত অনৈতিকভাবে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে।
চিন জানিয়েছে, ভারতে যা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। চিন ও পাকিস্তান উভয় দেশই দাবি করে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা অনৈতিক হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলোচনা হোক। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার অনৈতিকভাবে হয়েছে কি না।