আরব বিশ্ব থেকে আরও দূরে পাকিস্তান! ইজরায়েলের ধাক্কায় লাইনচ্যুত ইমরানের 'কাশ্মীর এক্সপ্রেস'
ইজরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তি নিয়ে সরগরম মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে সৌদি আরবও। আর এতেই স্পষ্ট হচ্ছে যে ইজরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলির সম্পর্ক ভালো হচ্ছে ধীরে ধীরে। এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতেও পাকিস্তানের কথায় কান দিচ্ছে না ওইসিভুক্ত দেশগুলি। সব মিলিয়ে মিশিয়ে আরব দেশগুলির থেকে ক্রমেই দূরে চলে যাচ্ছে পাকিস্তান।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রথম থেকেই ইজরায়েল বিরোধী পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রথম থেকেই ইজরায়েল বিরোধী পাকিস্তান। পাকিস্তানের জাতির জনক, মহম্মদ আলি জিন্নাহ ফিলিস্তিন ইস্যুতে আজরায়েলের সঙ্গে যেই নীতি ধার্য্য করেছিলেন, পরবর্তীতে পাকিস্তানের কোনও সরকারই তা বদল করেনি। তবে ব্যবসায়িক কারণেই হোক বা মার্কিন মধ্যস্থতাতেই হোক, ইজরায়েলের সঙ্গে ধীরে ধীরে দ্বন্দ্ব মিটিয়েছে আরব দেশশুলি। তবে পাকিস্তান এখনও ইজরায়েলকে মুসলিম বিরোধী শক্তি হিসাবে দেখে। আর তাই ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও ভালো।
তুরস্কের কাছাকাছি যাচ্ছে পাকিস্তান
এদিকে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ন মুসলিম বিশ্বের খালিফা বা প্রধান ব্যক্তি হতে চাইছেন। এই লক্ষ্যে তিনি ওআইসি-র সমন্তরাল একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে চাইছেন। পাকিস্তান তাতে তুরস্কের সঙ্গে রয়েছে। যার ফল স্বরূপ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ছোটো ছোটো দাবিগুলি মেনে নিচ্ছে তুরস্ক।
মোদীর বিদেশনীতিতে রীতিমতো কাবু পাকিস্তান
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতিতে রীতিমতো কাবু পাকিস্তান। বিশেষত মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গদিতে বসার পর মুসলিম বিশ্বে ভারতের গ্রহণ যোগ্যতা বেড়েছে তড়তড়িয়ে। গত ৬ বছরে বিশ্বের ৬টি মুসলিম দেশের থেকে প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছে। আর মুসলিম বিশ্বে মোদীর এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও ভারতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ইমরান খানের মাথায় হাত পড়েছে।
সৌদি-পাক বিভেদ
সৌদি
আরবের
নেতৃত্বাধীন
অর্গানাইজেশন
অব
ইসলামিক
কোঅপারেশনে
কাশ্মীর
ইস্যুতে
ভারতের
বিরুদ্ধে
না
দাঁড়ানোয়
পাকিস্তানের
বিদেশমন্ত্রী
শাহ
মহম্মদ
কুরেশি
সৌদিকে
সতর্ক
করেছিলেন।
সেই
সতর্কবার্তার
খেসারত
অবশ্য
পাকিস্তানকে
চুকাতে
হয়।
চিন
থেকে
১
বিলিয়ন
ডলার
ধার
নিয়ে
তা
দিয়ে
সৌদির
ঋণ
শোধ
করতে
হয়েছে
পাকিস্তানকে।
আর
সৌদির
মান
ভঞ্জনে
এবার
সেদেশে
পাক
সেনার
প্রধানকে
পাঠান
ইমরান
খান।
তবে
তাতেও
চিড়ে
ভেজেনি।
উল্টে
পাক
সেনা
প্রধানের
সঙ্গে
দেখাও
করেননি
সৌদি
যুবরাজ
মহম্মদ
বিন
সালমান।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নাজেহাল পাকিস্তান
উল্লেখ্য, পাকিস্তান চেয়েছিল ৫ অগাস্টকে কেন্দ্র কের কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে নিন্দা করুক আরবদেশগুলি। তাই ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই ৫৩ সদস্যের ওআইসি তা নস্যাৎ করে। রাষ্ট্রসংঘের পরে এই মুসলিম দেশ সম্বলিত ওআইসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আর সেখানেই পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে ঘ্যানঘ্যান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ঋণের দায়ে জর্জরিত পাকিস্তান
সৌদি ছাড়াও পাকিস্তানকে একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্র বহু কোটি টাকার আর্থিক মদত দিয়েছে। তবে তার প্রেক্ষিতে সঠিকভাবে ঋণ শোধে অপারগ পাকিস্তান। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ সৌদি আরব। এছাড়াও পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ একাধিক আরব দেশ। সেই কারণেই ওআইসির কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান।
পাকিস্তানেকে কী বলে ওআইসি?
সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোষ্ঠীভূক্ত বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হবে না। যদি পাকিস্তান কথা না শুনতে চায় তাহলে পাকিস্তান যেন আলাদাভাবে ওআইসির বৈঠক ডেকে সেখানে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলে। তবে এই বৈঠকে নয়। এই আবহে একমাত্র তুরস্ক ও মালয়শিয়া পাকিস্তানের পাশে রয়েছে। আর ওইসির কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাওয়ার মূলে আদতে রয়েছে মোদীর বিদেশনীতি।
পাকিস্তানে গিয়ে বিপদে হিন্দু শরণার্থীরা! করোনার মাঝে ফুরিয়েছে ভিসার মেয়াদ, ভারতে ফিরবেন কীভাবে?