অবৈধ ভাবে পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর জন্য মরিয়া পাকিস্তান
পারমানবিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানের অতি সক্রিয়তা নজর কাড়ছে গোটা বিশ্বের। জার্মান সরকারের মতে, অবৈধভাবে পারমাণবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্রগুলির আমদানি তীব্র ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানে।

২০১৩ সালে বিএফভি এই প্রসঙ্গে তার প্রতিবেদনে বলে, “ জার্মানি এবং অন্যান্য বহু পশ্চিমা দেশ থেকেই এই জাতীয় বিভিন্ন অস্ত্রের ক্রয় বাড়িয়েছে পাকিস্তান।” পাশাপাশি জার্মান সরকারও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্র সংগ্রহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এই প্রসঙ্গে জার্মান সরকার বলে, “"২০১০ সালের পর থেকে ইরানের মতো দেশগুলিতে অবৈধ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু পরিমাণগত পরিবর্তন এসেছে। তারপর ২০১৬-র জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্তরে যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) বলবৎ হওয়ার পর অবৈধ পারমানবিক অস্ত্র সংগ্রহের পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে যায়। কিন্তু বিপরীতে, পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিস্তর অবৈধ পারমাণবিক অস্ত্রের ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
পাকিস্তানের মোট পারমানবিক বোমার পরিমাণ
বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে ১৩০ থেকে ১৪০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান। বিএফভি জানাচ্ছে ইসলামাবাদ মূলত সেই পণ্য গুলির সংগ্রহ বাড়িয়েছে যে পণ্যগুলি পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। গত কয়েক বছরের সমীক্ষা তুলে ধরে তারা মনে করে ভবিষ্যতেও পাকিস্তান প্রচেষ্টা জারি রাখতে চলেছে।
কাশ্মীর, পুলওয়ামা সহ একাধিক ইস্যুতে ভারত-পাক উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়েছে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতিও। সেই সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সুর বদলে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলতে দেখা যায়, “আমাদের দেশ কখনও প্রথম পারমানবিক আক্রমণ করবে না।”
ইমরান খানের হুমকি
অন্যদিকে চলতি বছরের ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে দিতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। ভারত এই পদক্ষেপের পরে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা পারদ চড়লে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিতে দেখা যায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকেও দায়ী করতে দেখা যায় তাকে।
পাশাপাশি, সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, ভারত-পাক পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধলে ১০০ কোটিরও বেশি লোক মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, একইসাথে বিশ্বব্যাপী গণ-অনাহারের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।