কাশ্মীর ইস্যুতে আঁতে ঘা লেগেছে পাকিস্তানের, কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি করে বাণিজ্য বন্ধ করলেন ইমরান
কাশ্মীর ইস্যু আঁতে ঘা দিয়েছে পাকিস্তানের। সেটা সোমবারই বোঝা গিয়েছিল।
কাশ্মীর ইস্যু আঁতে ঘা দিয়েছে পাকিস্তানের। সেটা সোমবারই বোঝা গিয়েছিল। যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বলবৎ থাকা ৩৭০ ধারা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার তুলে নেয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে ফেলা হবে।
এই সিদ্ধান্তের পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। পুলওয়ামার মতো হামলা আরও হবে। এমন হুমকিও দেন। তবে ভারত যে এরকম একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে তা যেন পাকিস্তান কিছুতেই হজম করতে পারছে না। আর সেজন্যই ভারতকে শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লাগল পাকিস্তান।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও অবনতি করল। ওয়াঘা সীমান্ত আটকেছে পাকিস্তান। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়ে গেল। এদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর।
মোট পাঁচটি সিদ্ধান্ত পাকিস্তান নিয়েছে বলে খবর -
- ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতি করা
- দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করা
-
দু'দেশের
মধ্যে
যে
সমস্ত
চুক্তি
রয়েছে
তা
ফের
একবার
পর্যালোচনা
করা
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ রাষ্ট্রপুঞ্জে, নিরাপত্তা পরিষদে দরবার করা - এবং আগামী ১৪ অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকার বার্তা দেওয়া
এদিন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে বৈঠক করেন সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মানবাধিকার মন্ত্রী এবং সে দেশের আইন মন্ত্রী। এছাড়াও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ছিলেন। সেখানেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।