চিনের ধমকে নতি স্বীকার ইমরান খানের, ১০ দিনেই পাকিস্তানে ফিরল টিকটক
পাকিস্তানে যখন টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখনই হট্টগোল বাঁধে। ইমরান খানের সেই ঘোষণার পর ১০ দিনও অতিক্রান্ত হতে না হতেই পাকিস্তানে ফিরে এল টিকটক। পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রকের তরফে জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের উপর থেকে এদিনই নিষেধাজ্ঞা তোলার ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের তরফে কী বলা হয়?
এই বিষয়ে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট শর্তে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বারবার অশ্লীল ও অনৈতিক কনটেন্ট পোস্ট করা হলে সেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দেওয়া হবে বলে টিকটিক কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়ে চাপ তৈরি করা হয় পাকিস্তানের উপর।
টিকটক কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে আশ্বাস দিয়ে যা জানায়
এর আগে টিকটক কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে আশ্বাস দিয়ে ১৭ অক্টোবর জানিয়েছিল, যদি তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় তাহলে তারা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করবে। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতেই নাকি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উঠল নিষেধাজ্ঞা। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, বেজিংয়ের ধমকেই পিছু হটেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পরই মাথায় হাত পড়ে চিনের
এর আগে টিকটক নিষিদ্ধ করে ইমরান খানের ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে চিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। টিকটকের কনটেন্ট নিয়ে আপত্তির কারণেই পাকিস্তানে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অ্যাপে আপলাড হওয়া ভিডিও নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এর আগে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে এতে চিনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়াতে ইমরান খানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু বেজিং।
আপত্তিকর কনটেন্ট আপলোডের জেরে নিষিদ্ধ হয়েছিল
ভারত-আমেরিকা ইতিমধ্যেই চিনের জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল। তবে মূলত নিরাপত্তা ও তথ্য চুরির অভিযোগ এনে এই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, টিকটককে এর আগে আপত্তিকর কনটেন্ট আপলোডের জেরেই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়।
'তুরুপের তাস' দলাই লামা, লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি লুকিয়ে তিব্বতে