শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে হাত পাতল পাকিস্তান! করোনা রুখতে মোদীর স্মরণাপন্ন ইমরান
করোনা ভাইরাস প্রকোপে জর্জরিত সারা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানও। পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণ লাগামহীন আকার ধারণ করেছে। পাকিস্তান জুড়ে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এই অবস্থায় কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্ব ভুলে ভারতের কাছে সাহায্যের হাত পাতল পাকিস্তান।
ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চাইল পাকিস্তান
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জেরবার পাকিস্তান ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চাইল। ইতিমধ্যে আমেরিকা, ব্রাজিল সহ পৃথিবীর একাধিক দেশকে ভারত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্য করতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছে। পাকিস্তানই সর্বশেষ দেশ যারা ভারতের কাছে তা চেয়ে হাত পাতল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জেরবার পাকিস্তান
এর আগে ইমরান খান সাফ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানে যাই হয়ে যাক তিনি লকডাউন ঘোষণা করবেন না। সার্ক-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শুধু অনুপস্থিত ছিলেন ইমরান। সেই বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বসিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি করোনা নিয়ে এমন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সার্কের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সকলকে চমকে দেয়। এরপরই ইমরানের পদক্ষেপ অনেককেই অবাক করে। তবে এখন পরিস্থিতি বেকায়দা দেখে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে সেদেশের সরকার।
পাকিস্তানে আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি
এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে করোনা ভাইরাস আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে।
করোনা আক্রান্তদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হচ্ছে
এদিকে পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে পাঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হচ্ছে পিওকে ও গিলগিটে। সেখানে এদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। তবে এতে চটেছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিটের বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, তাদেরকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এভাবে।
৩৪টি দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকরী হচ্ছে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। তাই ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে ওই ওষুধ। করোনা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধটি হাতে পেতে। এরই মধ্যে ভারত আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে ভারত ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করেছিল ভারত। এছাড়া আরও ৩৪টি দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
কী এই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বের মধ্যে 'হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন' ড্রাগটির বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হল ভারত। মূলত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগা যে ওষুধ দিয়ে কোভিড ১৯ কে ঠেকানোর চেষ্টা করছে গোটা দুনিয়া। অতিসক্রিয় ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। ১৯৪০ থেকেই ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় এর ব্যবহার চলছে। রিউমটয়েড আর্থারাইটিস, লিউপাসের ক্ষেত্রেও এটি দেওয়া হয় রোগীকে।