লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সঙ্গেই পিওকেতে গোপনে পাক জঙ্গি তৎপরতা শুরু! দিল্লির কোন দাবি সত্যি প্রমাণিত হল
একদিকে সামনেই FATF এর ধূসর তালিকা থেকে নাম সরিয়ে বিশ্বেস সামনে সন্ত্রাসবাদকে সরিয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তৈরির হাতছানি, অন্যদিকে, পাক সেনার নাগপাশে জড়িয়ে যাওয়া ইমরান সরকারের উপর চাপ রয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির। এমন এক পরিস্থিতিতে ইমরান সরকারের সেনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগসাজোশ বাড়ছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেই জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তান, চিনের তৎপরতা যেন একই মিশনের দুটি অংশ বলে মনে হচ্ছে। আর সেই ছকেই যে গোটা পরিস্থিতি এগিয়েছে, তা প্রমাণ করছে গোয়েন্দা রিপোর্ট। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইসলামাবাদের বুকে কী ঘটছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে পাক গুপ্তচরবিভাগের তথ্য
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ভারত তুলে নিতেই পাকিস্তান বহু চেষ্টা করেও কোনও জঙ্গি হামলার চেষ্টায় সফল হতে পারেনি। এবার জঙ্গিদের সাহায্য করতে ময়দানে নেমেছে পাকিস্তান সেনা। পাক সেনার তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানের অন্দরে হিজবুল, লস্কর, জইশ, তালিবানে মতো জঙ্গি সংগঠন একজোট হয়ে কাশ্মীরকে রক্তক্ষয়ী করার চেষ্টায় রয়েছে।
গত একবছর ধরে কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসঘাঁটিগুলি একত্রিত হয়ে কাশ্মীরে হামলার ছক কষছে। লস্কর প্রধান লকভির সঙ্গে জইশ প্রধান রউফ আসগার, আমির হামজা সহ একধিক বিশ্বসন্ত্রাসবাদীরা গোলটেবিল বৈঠকে বসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। মূলত যে এলাকা জঙ্গি লঞ্চপ্যাড হিসাবে পরিচিত।
হিজবুল এবার নেতৃত্বে!
জানা গিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে দেশের মধ্যে কোণঠাসা ইমরান সরকার। ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকেই তাঁর মন পরিস্থিতি। এদিকে, FATF এর ধূসর তালিকা থেকে না বের হতে পারলে, বহু আর্থিক অনুদান বন্ধ হতে থাকবে পাকিস্তানের জন্য। ফলে সন্ত্রাসের থেকে আপাতত যে পাকিস্তান দূরে তা বিশ্বের চোখে ধুলো দিয়ে বোঝানোর ছক কষতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে হামলার জন্য জঙ্গি শিবিরগুলিকে হিজবুল মুজাহিদ্দিন নেতৃত্ব দেবে বলে খবর।
লাদাখ সংঘাতের সময় থেকে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে তৎপরতা
মে মাসে ভারতের লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন বাড়তে শুরু করে। ৫ মে চিনের আগ্রাসন ভারতের দিকে হতেই ৭ মে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বৈঠকে বসে পড়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সময় থেকেই লস্করের মতে সংগঠন আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সন্ত্রাসী ঘাঁটি ডুরান্ড লইনের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া তালিবানের সঙ্গে লস্করের বহুবার বৈঠকও হয়। এরপরই দুইপক্ষ কাশ্মীরকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে থাকে।