ভারতের তৎপরতায় আশঙ্কায় ইসলামাবাদ, রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি ইমরানের সরকারের
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা এবং তারপর থেকে কাশ্মীরে ২ মেজর-সহ ৬ নিরাপত্তাকর্মীর শহিদ হওয়ার ঘটনা উপত্যকা জুড়ে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যার আঁচ গিয়ে পড়েছে ইসলামাবাদেও।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা এবং তারপর থেকে কাশ্মীরে ২ মেজর-সহ ৬ নিরাপত্তাকর্মীর শহিদ হওয়ার ঘটনা উপত্যকা জুড়ে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যার আঁচ গিয়ে পড়েছে ইসলামাবাদেও। কারণ, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় জইশ-ই-মহম্মদ দায় স্বীকার করার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়়েছে। এরমধ্যে সোমবার ১৭ ঘণ্টার এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গিকে গুলি করে মেরেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই তিন জঙ্গির মধ্যে একজন কামরান গাজি বলে দাবি করা হচ্ছে। এই কামরান-ই পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার মাস্টার মাইন্ড বলে দাবি করা হচ্ছিল।
স্বাভাবিকভাবেই এই তিন জঙ্গির সঙ্গে পাক যোগ পাওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যাচ্ছে তা বুঝতে পেরেই মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘকে একটি চিঠি লেখেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টেনিও গাটারেস -কে এই চিঠি-তে পাক বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'অত্যন্ত এক জরুরি অবস্থা অনুধাবন করে আপনাকে গোচরে এটা আনতে চাইছি যে ভারত যে ভাবে সমানে পাকিস্তানের উপর সেনা অভিযানের হুমকি দিচ্ছে তাতে আমাদের এই অঞ্চলে নিরাপত্তা অবস্থার ক্রমশই অবনতি ঘটছে।'
Pakistan Foreign Min Shah Mahmood Qureshi in letter addressed to UN Secretary-General: It is with a sense of urgency that I draw your attention to the deteriorating security situation in our region resulting from the threat of use of force against Pakistan by India. (File pic) pic.twitter.com/G5ZptErt4r
— ANI (@ANI) February 19, 2019
কাশ্মীর সমস্যা নিয়য়ে পাকিস্তান বহুদিন ধরেই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছে। কিন্তু, ভারত এর বিরোধিতা করে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উপরে ফোকাস করে রয়েছে। সন্দেহ নেই পাক বিদেশমন্ত্রী এই চিঠিতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপই দাবি করছেন। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না করার আগেই ভারত যে ভাবে পুলওয়ামাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের নাম জড়়িয়ে দিয়েছে তা অবাস্তব। তিনি আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ভারত সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে থাকা বিদ্বেষকে জনমানসে বাড়িয়ে তুলছে এবং পরিবেশ-কে অশান্ত করছে।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব-কে লেখা এই চিঠিতে পাক বিদেশমন্ত্রী এমনও অভিযোগ করেছেন যে, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি-রও খেলাপ করার কথা ভাবছে। এমনটা হলে এটা গুরুতর বিষয় হবে। অবিলম্বে এই উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া দরকার বলেই মনে করছেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। রাষ্ট্রসংঘের উচিত দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা কমাতে উদ্য়োগী হওয়া।
এর আগে নওয়াজ শরিফ-ও দুই দেশের সমস্যা সমাধানে মার্কিন হস্তক্ষেপর দাবি জানিয়েছিলেন। আর এবার সেই দাবি ফের জানালেন ইমরান খান। মার্কিন সরকার অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে আলোচনার টেবিলে-ই দুই দেশকে সমস্যা মেটাতে হবে। পাক বিদেশমন্ত্রীর চিঠি এই মুহূর্তে কতটা কার্য়করি হবে তা বলা মুশকিল।
[আরও পড়ুন: 'ভারত হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেবে', যুদ্ধের হুঁশিয়ারির সুর ইমরানের কণ্ঠে]