অপহরণ করে খ্রিস্টান বালিকার বিবাহ বৈধ, রায় দিয়ে কী কারণ দেখাল পাক শীর্ষ আদালত?
অপহরণ করে ক্রিস্টান বালিকার বিবাহ বৈধ, রায় দিয়ে কী কারণ দেখাল পাক শীর্ষ আদালত?
অপহরণ করে ক্রিস্টান নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই নাবালিকার বিয়েকে বৈধ বলে জানাল পাকিস্তানের আদালত। রায়ে এই বৈধতার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক না হলেও বালিকা ঋতুমতি হয়েছে। কাজেই এই বিয়ে বেআইনি নয়।
অপহরণ করে বিয়ে
গত বছর অক্টোবরে পাকিস্তানে অপহরণ করে বিয়ে করা হয় এক ক্রিস্টান কিশোরীর। হুমা নামে ওই কিশোরীর বয়স ১৪ বছর। বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল হুমাকে। হুমার মা-বাবা ইউনুস এবং নাগিনা মসিহা অভিযোগ করেছিলেন আবদুল জব্বার নামে এক যুবক তাঁদের মেয়েকে অপরহণ করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়
সিন্ধ হাইকোর্ট থেকে মামলা পাক সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানে কিশোরীর বিয়েকে বৈধ বলে জানানো হয়েছে। পাক সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিয়ের জন্য ১৮ বছর বয়স না হলেও কিশোরীর ঋতুমতি হয়েছে। তাই শরিয়তি আইন অনুয়ায়ী ঋতুমতি মেয়ে বিয়ের যোগ্য। কাজেই এই বিয়ে বৈধ বলেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি মহম্মদ ইকবাল কালহোরো এবং বিচারপতি ইরশাদ আলি এই রায় দিয়েছেন। যদিও সিন্ধ প্রদেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে আইনত বৈধ হয় না। এক্ষেত্রে শরিয়তি আইনের সাহায্য নিয়েছেন বিচারপতিরা।
পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কিশোরীর বাবা-মা অভিযোগ করেছেন পুলিসের মদতেই জব্বার নামে ওই ব্যক্তি অপহরণ করেছিল তাঁদের মেয়েকে। এবং পুলিসও পুরো মামলাটি সাজিয়েছে। যদিও সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়েদের অপহরণ করে ধর্মান্তরিত এবং বিয়ে করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে শিখ পরিবাবের এক মেয়েকে অপরহণ করে ধর্মান্তরিত এবং বিয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ভারতও।
প্রতীকী ছবি