কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট পাকিস্তান, চরম বার্তা ইমরানের
এবার থেকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কাশ্মীর এবং লাদাখ। আর বিশেষ মর্যাদা রইল না। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে রীতিমত অসন্তুষ্ট পাকিস্তান। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট।
এবার থেকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কাশ্মীর এবং লাদাখ। আর বিশেষ মর্যাদা রইল না। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে রীতিমত অসন্তুষ্ট পাকিস্তান। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন ভারত কাশ্মীর নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মতামত না নিয়েই একতরফা সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে এই সিদ্ধান্তে। পাকিস্তান এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
কাশ্মীরের ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় পাকিস্তান। এবং কাশ্মীরিদের মতামত নিয়েই সেই সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ অলভি।ইসলামাবদ সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছে, পাকিস্তান কোনওভাবেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার বিলোপ মেনে নেবে না। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈসল রেডিও বার্তায় জানিয়েছেন, পাকিস্তান কখনও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ মেনে নেবে না। কাশ্মীরের মানুও এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না বলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লির এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে কার্তারপুর করিডরে। কারণ এই কার্তারপুর করিডর নিয়ে দিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের যে বৈঠকে বসার কথা ছিল সেটা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
গতকালই কাশ্মীরের মোদী সরকারের গতিবিধি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর নিয়ে ভারত আগ্রাসী আচরণ করছে বলে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। এমনকী ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব মনে করিয়ে দিয়ে শান্তি পূর্ণ সমাধানের কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ইমরানের এই বার্তায় গুরুত্ব দেয়নি দিল্লি। পাকিস্তানও আন্দাজ করতে পারেনি কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিপুপ্ত করার পরিকল্পনায় রয়েছে মোদী সরকার।
সোমবার অমিত শাহের প্রস্তাবে অনেকটা চমকেই গিয়েছিল পাকিস্তান। সেকারণেই প্রতিক্রিয়া জানাতে একটু দেরি হয়েছে। যদিও ইমরানে প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকটা বিপাকে ফেলেছে পাকিস্তানকে।
[আরও পড়ুন:৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই সতর্ক করা হল সেনাকে! কাশ্মীর যাচ্ছে আরও আধাসামরিক বাহিনী ]
কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে ভূস্বর্গ ভারতেরই অংশ। এখানে নাক গলানোর জায়গা নেই পাকিস্তানের। পাকিস্তান যদি সরাসরি এর প্রতিবাদ করে তাহলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিপাকে পড়বে তাঁরাই।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের থাকবে না কোনও আলাদা পতাকা! ৩৭০ ধারা উঠে গিয়ে কী পেতে চলেছে ভূস্বর্গ]