মার্কিন-ইরান যুদ্ধে পাকিস্তান কোন সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে! কোনদিকে পাল্লা ভারী ইসলামাবাদের
মার্কিন সেনার বাগদাদে হানার পর ইরানের সেনাপ্রধান সুলেমানির মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ব রাজনীতি রীতিমতো চাঞ্চল্যে রয়েছে।
মার্কিন সেনার বাগদাদে হানার পর ইরানের সেনাপ্রধান সুলেমানির মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ব রাজনীতি রীতিমতো চাঞ্চল্যে রয়েছে। ক্রমাগত ইরান বনাম মার্কিন রাষ্ট্রনেতাজের তোপ আর পাল্টা যুদ্ধের হুঙ্কারে বেশ কিছু আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সুযোগের সদ্ব্যবহার করে , নিশ্চিন্তে নিরাপদ আশ্রয় বেছে নিতে তৎপর হয়েছে।
ইসালামাবাদ কোনদিকে?
মার্কিন বনাম ইরানের যুদ্ধে এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সমর্থনে না থেকে শক্তিধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এগিয়ে এলো ইসলামাবাদ। এপ্রসঙ্গে মার্কিন সেনার ছাতার তলায় থাকতেই বেশি পছন্দ করছে ইসলামাবাদ।
কোন ঘটনাকে সামনে রেখে মার্কিন ছাতার তলায় আসতে চাইছে পাকিস্তান?
এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পাকিস্তান ইরানের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে বালুচিস্তানের জঙ্গিদের হাতে পাকিস্তান সেনার ওপর হামলা ঘটনাকে তুলে ধরেছে ইসলামাবাদ। ইসলামাবাদের দাবি, সেই ঘটনায় বালুচিস্তান জঙ্গিদের ওপর ইরানের সমর্থন ছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান। আর তার জেরেই তারা ইরান বনাম মার্কিন যুদ্ধে ট্রাম্পে পাশে রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সুলেমানি বহুবার পাকিস্তান সেনাকে নিশানায় নিয়েছিল!
এক জনপ্রিয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, বহুবার সুলেমানি পাকিস্তানি সেনাকে নিশানায় নিয়েছিল। বহুবার পাকিস্তানের সেনাকে আক্রমণ কের সুলেমানি সমর্থিত বালুচিস্তান জঙ্গিরা। এদিকে, এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে যখন মার্কিন প্রশাসন বারবার চাপ দিচ্ছে জঙ্গি দমনের জন্য তখন পাকিস্তান রীতিমতো কোণঠাসা হতে শুরু করে। আর সুলেমানির মৃত্যু সেই চাপ কাটাকে সাহায্য করেছে পাকিস্তানকে। সুযোগ পেয়েই পাতকিস্তান ঝুঁকে যায় মার্কিন সেনার দিকে। তুলে ধরে বালুচিস্তান জঙ্গিদের কথা।
ট্রাম্প প্রশাসন কী জানিয়েছে?
এদিকে , সুলেমানি হত্যার খানিক বাদেই পাকিস্তান সেনা প্রধানের সঙ্গে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পের বৈঠকের পর মার্কিন প্রশাসক জানিয়ে দেন যে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন কথা হয়েছে। আর তার পরই তিনি ইঙ্গিত দেন, এবার মার্কিন সেনা ও পাকিস্তানি সেনার যৌথ মহড়ার বিষয়ে।
'মানুষকে একবার বোকা বানানো যায়, বারবার না!' কেজরিওয়ালকে তোপ অমিত শাহের