যত অসুস্থ হচ্ছে মানুষ, ততই সেরে উঠছে প্রকৃতি! এহেন সময়ে কেমন আছে ওজোন স্তরের ক্ষত?
করোনা ভাইরাসের জেরে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে মারা যাচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার জেরে বিশ্বজুড়ে এখন লকডাউন পরিস্থিতি। অর্থনীতি এখন খাদের কিনারায়। বন্ধ যান চলাচল। স্তব্ধ মানবজীবন। এরই মধ্যে যত দিন যাচ্ছে ততই একে একে পৃথিবীর এক একটা ক্ষত সেরে উঠছে।

লকডাউনের ফলে দূষণমুক্ত পৃথিবী
প্রকৃতির উপর ধূসর রঙের চাদর এখন ধুয়ে মুছে সাফ। ৩০ বছর পর পাঞ্জাবের আকাশ সাফ হয়েছে। এর ফলে দূরে থাকা শিবালিক পর্বতমালা দেখা যাচ্ছে। কলকাতার বাবুঘাটে দেখা যাচ্ছে শুশুকদের। এমনই হাজার একটা খবর সামনে আসছে রোজ। এরই মধ্যে অক্সিজেনের স্তর বেড়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, সেরে উঠছে ওজোন স্তরের ক্ষত।

১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল গর্ত
যে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এ পৃথিবী নিজেকে নিজেই রক্ষা করতে পারে, যার প্রমাণ মিলল ফের। বরফে ঢাকা উত্তর মেরুর আকাশে ওজোন স্তরে ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিল। এর আগে পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর ওজোনে এই গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ভয়াবহ আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।

উদ্বিগ্ন হয় বিক্ষানীরা
গত মার্চেই বিজ্ঞানীরা উত্তর মেরু ওজোন স্তরে বড় ক্ষত নজরে এসেছিল বিজ্ঞানীদের। এত বড় ক্ষত এই অঞ্চলে এর আগে দেখা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছিল। ওজোন স্তর পৃথিবীর পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি সহ একাধিক ক্ষতিকর রশ্মি আটকে যায় ওজন স্তরে।

সেরে উঠেছে ওজোন স্তর
উত্তর মেরুর আর্কটিক অঞ্চলের আকাশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সেখানকার পোলার ভর্টেক্স অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরিন ও ব্রোমাইনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতিও বেড়ে যায়, যা ওজোন স্তরকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম।